মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

শ্রীমঙ্গলে কালো বক উদ্ধার

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

শ্রীমঙ্গলে কালো বক উদ্ধার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি বিরল প্রজাতির কালো বক উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল হাইল হাওর থেকে বকটি উদ্ধার করা হয়। বকটি হাইল হাওরে মাছের বড়শিতে আটকা পড়েছিল। খবর পেয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন গিয়ে বকটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। উদ্ধার করা বকটি বিকালে বন বিভাগের সহযোগিতায় বাইক্কাবিলে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাখিবিশারদরা জানান, কালো বক আমাদের দেশের বিরল আবাসিক পাখি। অঞ্চল ভেদে চরখুচি নামেও পরিচিত। এরা আরডিডি পরিবারভুক্ত। এদের ইংরেজি নাম ব্ল্যাক বির্টান। আর বৈজ্ঞানিক নাম ডুপেটর ফ্ল্যাভিকলিপ। এরা লম্বায় ৫৮ সেমি.।  মাথা ও ঘাড় বেয়ে কালো পালক নেমে এসে সারা পিঠে ছড়িয়েছে। গলা ও ঘাড়ের রং কমলা। বুকে ও গলায় খাড়া খাড়া কালচে রঙের টান রয়েছে। ঠোঁট হলদে-ধুসর। পা কালচে। এরা মাছ, ঘাসফড়িং ও ব্যাঙ খেয়ে থাকে।

প্রজননকালে নিচু গাছে বা ঝোপঝাড়ে শুকনো ডালপালা দিয়ে বাসা করে। ডিম দেয় চারটি। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে ১৮ থেকে ২২ দিন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইনাম আল হক বলেন, সংখ্যায় ভালো থাকলেও এদের সচরাচর দেখা যায় না। আমাদের দেশে এমনিতেই এদের সংখ্যা কম। এরা পানি থেকে এক ফুট ওপরে গাছে বসে থাকে। অন্য বকের মতো এরা পানিতে নেমে শিকার করে না। এরা গাছে বসেই শিকার করে। দিনে দিনে এদের আবাসস্থল কমে যাওয়ায় এরা সংখ্যায় কমে যাচ্ছে। কালো বক পানির ওপরে অন্ধকারে বসে থাকে। এরা নড়ে না। লুকিয়ে থাকে। ধরা পড়ায় জানা গেল যে, বাইক্কা বিলেও এরা আছে। তবে বড়শিতে ধরা পড়া খুবই দুঃখজনক। এদের টিকিয়ে রাখতে হলে হাওরে বড়শি বা জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর