বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘুষ লেনদেন মামলায় মিজান ও বাছিরের আত্মপক্ষ সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুষ লেনদেনের মামলায় পুলিশের ডিআইজি (সাময়িক বরখাস্ত) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুল বাছির আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। এতে তারা উল্লেখ করেছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানি করতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য আমলে নিয়ে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আগামী ২৪ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে ডিআইজি মিজানের আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘ডিআইজি মিজান অস্বীকার করেন না যে তিনি ঘুষ দেননি। লিখিত  বক্তব্যেও তিনি তা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি তা দিতে বাধ্য হয়েছেন। দ বিধির ১৬৫ (২) ধারা অনুযায়ী কেউ ঘুষ দিতে বাধ্য হলে সেটা অপরাধ নয়। অভিযোগের সত্যতা না থাকার পরও ঘুষ না দিলে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেবেন বলে হুমকির কারণে তিনি ঘুষ দিতে বাধ্য হন।’

এর আগে, মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ৩ জানুয়ারি উভয় আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। ওই দিন তারা লিখিত বক্তব্য জমা দেবেন বলে আদালতকে জানান। এ জন্য তারা সময়ও চান। আদালত ১২ জানুয়ারি আসামিদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেন। ডিআইজি মিজান ৬ পৃষ্ঠা এবং এনামুল বাছির ১২ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য জমা দেন। ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় দুদক।

দুদকের মামলার চার্জশিটে বলা হয়, দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ডিআইজি মিজানের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান করছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৯ সালের ৯ জুন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সাংবাদ প্রকাশিত হয়, মিজান অনুসন্ধান সংশ্লিষ্টে এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। তৎক্ষণিক দুদক তদন্ত কমিটি করে। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পায়। এরপর এ সংক্রান্তে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিও ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলাটি করা হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর