শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশে বায়ুদূষণে বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে বায়ুদূষণের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রতি ১ লাখে ১৪৯ জন মারা যান। অর্থাৎ, বছরে মোট মৃত্যু হয় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের। এ ছাড়া তামাকের ব্যবহারে প্রতি বছর মারা যান ১ লাখ ৯৬১ জন। পরোক্ষ ধূমপানে মারা যান ২৪ হাজার ৭৫৭ জন। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রতি বছর ৭ লাখ অপরিণত নবজাতকের মৃত্যু হয়। প্রতি মিনিটে মারা যান ১৩ জন। ধারণা করা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অপুষ্টি, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও হিট স্ট্রোকে ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিশ্বে বছরে অতিরিক্ত আড়াই লাখ মানুষ মারা যাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে দেড় কোটি লোক বসবাস করে। তাদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যহানিকর পরিবেশে থাকতে হয়। গাড়ির আওয়াজ হচ্ছে। ভবন নির্মাণে শব্দ হচ্ছে। ঢাকার আশপাশে শত শত ব্রিকফিল্ড। ধূলিকণাগুলো বাতাসে উড়ছে। খাদ্যে অনেক সময়  ভেজাল করা হয়। এ কারণেও নানা অসুখ হচ্ছে। সংক্রামক রোগ বাড়ছে। অসংক্রামক রোগ যেমন ক্যান্সার, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস বাড়ছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হচ্ছি। সবকিছুর পেছনে পরিবেশ দূষণ। নিজে ভালো থাকতে পরিবেশ ভালো রাখতে হবে। তিনি বলেন, নগরায়ণ এত হচ্ছে যে গাছ থাকছে না। বাংলাদেশ নিজে এত দূষণ করে না। বড় বড় দেশ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারত এরাই সবচেয়ে পরিবেশ দূষণ করে থাকে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ। স্বাস্থ্য খাতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সলান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর