প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসী আয়ের প্রণোদনা আড়াই শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য তুলে ধরেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চলতি বছরের শুরুতে প্রণোদনা আড়াই শতাংশে উন্নীত করা হয়। বাজেটে এ হারই বজায় থাকছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশের প্রবাস আয়ে রেকর্ড ৩৬.১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল। তবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাস আয় কিছুটা হ্রাস পেতে শুরু করায় বৈধ পথে প্রবাস আয় প্রেরণকে অধিকতর উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে আমরা এ খাতে প্রণোদনার হার ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২.৫ শতাংশে নির্ধারণ করেছি। আমি আগামী অর্থবছরেও এ খাতে ২.৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি। বাজেট উপস্থাপনের সময় প্রবাসী আয় বাড়াতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে ৫ হাজার মার্কিন ডলারের অধিক প্রবাস আয় প্রেরণের ক্ষেত্রে উক্ত প্রণোদনার জন্য প্রেরণকারীর কাগজপত্রাদি বিদেশস্থ এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে প্রেরণের বাধ্যবাধকতা ছিল, যা সম্প্রতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ পদক্ষেপসমূহের কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রবাস আয়ের প্রবাহ আবারও বাড়তে শুরু করেছে এবং আশা করা যায় যে, অতিসত্বর প্রবাস আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা ফিরে আসবে। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। গতবছর অর্থমন্ত্রী চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন। তবে সংশোধিত হয়ে এ বাজেটের আকার কমে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
