মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পানির নিচে চসিক মেয়রের বাসভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পানির নিচে চসিক মেয়রের বাসভবন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়রের বাসভবন এবং গলিপথ এখন পানির নিচে। জলাবদ্ধতার কারণে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বাসা থেকে বের হতে পারেননি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। দুপুরের পরই যেতে হয় নগর ভবনে। ফলে বাতিল করা হয়েছে সকালের সব সভা-বৈঠক।  

চট্টগ্রামে গত বৃহস্পতিবার থেকে কখনো মুষলধারে, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টিতে নগরের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। এ সময়  চসিক মেয়রের বাসভবন নগরের বহদ্দারহাটের বহদ্দার বাড়িও তলিয়ে যায়। মেয়রের দোতলা ভবনের নিচতলা, সামনের উঠান, গলি ও সড়ক পানিতে ডুবে যায়। চার দিন ধরেই এভাবে পানির নিচে তলিয়ে যায় মেয়রের বাসভবন। মেয়র বাসা থেকে বের হতে না পারায় গতকাল সকালে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে চসিক পরিচালিত সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের পৃথক সভাও স্থগিত করা হয়। গত বছরও জলাবদ্ধতায় একাধিকবার তলিয়ে যায় মেয়রের বাসা ও সামনের সড়ক। অভিন্ন চিত্র আশপাশের এলাকাগুলোতেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চসিক নিয়মিত নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করলে পানি দ্রুত প্রবাহিত হতো। কিন্তু এখন কাজটি না করায় স্বয়ং মেয়রকেই এ ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। বারবার জলাবদ্ধতা হচ্ছে। চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, সকালে পানির কারণে দুপুরের দিকে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে বিলম্বে বের হওয়ায় সাতটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে থাকা মিটিং স্থগিত করা হয়। কারণ বর্তমানে অনেক স্কুলে পানি ওঠে যায়।

দুপুরের দিকে মেয়র মহোদয় বাসা থেকে বের হন। প্রথমে নগরের ষোলকবহর, চকবাজার, আগ্রাবাদসহ কিছু এলাকায় প্রায় ২ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপর নগর ভবনে আসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চসিক মেয়রের পৈতৃক বাড়ি নগরের বহদ্দারহাট বহদ্দার বাড়ি। পরিবার নিয়ে তিনি দ্বিতীয় তলায় থাকেন। নিচ তলায় সাংগঠনিক-রাজনৈতিক বৈঠক, ঘরোয়া আলোচনা এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু গত চার দিন ধরে এ জায়গাটি পানির নিচে। নালা নর্দমা পরিষ্কার না থাকায় পানি নামতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

সর্বশেষ খবর