রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

৩১ কর্মকর্তা-প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন’ পদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পেলেন প্রশাসনের ২৭ জন কর্মকর্তা ও ৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আগে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হতো। এবার নাম বদলে নতুন আঙ্গিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক নামে এ পদক দেওয়া হলো।

গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় ও একটি ইউনিটের কাছে পদক তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এবার ‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’য় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি ও দর্শন বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের ধারণা বাস্তবে রূপায়ণ করে ‘উন্নয়ন প্রশাসনে’ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন। ‘মানব উন্নয়ন’ ক্ষেত্রে দলগতভাবে পদক পেয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বাগেরহাট মোল্লারহাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ওয়াহিদ হোসেন, মোল্লারহাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মন্ডল ও মোল্লারহাটের উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. কামাল হোসেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব কাজী মো. আবদুর রহমান (নেত্রকোনার সাবেক জেলা প্রশাসক), নেত্রকোনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমানে পিআরএল ভোগরত) হাবিবুর রহমান, নেত্রকোনা খালিয়াজুরির উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম, খালিয়াজুরির সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) (বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে যোগ দেওয়া) নাহিদ হাসান খান ও নেত্রকোনার মদনের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুর রহমান ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ ক্ষেত্রে পদক পেলেন। ‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা’য় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এ এইচ এম আবদুর রকিব, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহিদ নজরুল চৌধুরী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকিউল ইসলাম পদক জিতেছেন। ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ ক্ষেত্রে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, গোপালগঞ্জের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলাম (মাদারীপুরের স্থানীয় সরকারের সাবেক উপ-পরিচালক), মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আবু-জাহের দলগতভাবে পদক পেয়েছেন। ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ ক্ষেত্রে দলগতভাবে পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ঢাকার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ও সুরক্ষা ডেভেলপার ইউনিট। ভূমি তথ্য ব্যাংকের জন্য ‘সংস্কার’ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এছাড়া ‘গবেষণা’য় বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান ও ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) পারভেজুর রহমান পদক পেয়েছেন। কুমিল্লার ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী, সহকারী কমিশনার ফাহিমা বিনতে আখতার ও নাসরিন সুলতানা নিপা ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ খাতে পদক জিতে নিয়েছেন। নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যক্তিগত অবদানের জন্য ২ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। দলগত অবদানের ক্ষেত্রে দলের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। দলের প্রত্যেক সদস্যকে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং নগদ পুরস্কারের ৫ লাখ টাকা সদস্যদের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর