শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

আজ বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

আজ বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস

বাঙালির মনন ও সৃজনে রবীন্দ্রনাথ অনন্য এক নাম। তাঁর হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসনে উন্নীত হয়। গল্পে, উপন্যাসে, কবিতায়, সুরে ও বিচিত্র গানের বাণীতে, অসাধারণ সব দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ প্রবন্ধে, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিসংলগ্ন গভীর জীবনবাদী চিন্তাজাগানিয়া লেখায় এমনকি চিত্রকলায়ও রবীন্দ্রনাথ চির নবীন। আজ ২২ শ্রাবণ কবির ৮১তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ১৩৪৮ সালের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে শ্রাবণের বাদলঝরা সকালে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেন কবিগুরু। বিশ্বকবি প্রকৃতিকে কাঁদিয়ে ইহধামের মায়া ত্যাগ করার পর শোকার্ত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে লিখেছিলেন- ‘দুপুরের রবি পড়িয়াছে ঢলে অস্ত-পথের কোলে/ বাংলার কবি শ্যাম বাংলার হৃদয়ের ছবি/ তুমি চলে যাবে বলে/ শ্রাবণের মেঘ ছুটে এলো দলে দলে।’ রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী, চিত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি চিত্রকর হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন। কবিগুরুর কবিতা ও গান বাঙালি তথা বাংলাদেশিদের যাপিত জীবনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকেই আমাদের জাতীয় সংগীত ও ‘বাংলাদেশ’ নামের বানানটি নেওয়া হয়েছে। জন্ম-মৃত্যুর মাঝে কবিগুরু তফাৎ দেখেছেন খুব সামান্যই। সৃষ্টিই যে এই নশ্বর জীবনকে অবিনশ্বরতা দেয়, সে কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন বলেই তিনি দৃঢ়তায় বলতে পেরেছেন- মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের/ মূল্য দিতে হয়/ সে প্রাণ অমৃতলোকে/ মৃত্যুকে করে জয়।’ ৮০ বছরের জীবন-সাধনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জন্ম এবং মৃত্যুকে একাকার করে তুলেছেন অজস্র অমরতার শ্বাশত বার্তায়। প্রথম এশীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৮ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

সর্বশেষ খবর