শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হাতিয়ায় সংঘর্ষে তিনজন নিহত, আটক ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জলদস্যুদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, মো. কবির (৩৫), মো. শাহরাজ (৩৬), ও নবীর উদ্দিন ওরফে নূর নবী (৩৬)। নিহত ব্যক্তিরা ফখরুল বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ডাকাতরা উপজেলার মেঘনা নদীসংলগ্ন ঘাসিয়ার চরের বাসিন্দা। আটক ডাকাতরা হলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বাসিন্দা জিন্টু (৩৬), হারুন (৩৭) লিটন (৩৫) মোশারফ (৩৬) আজিম বেপারী (২৭)। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাফিউল কিঞ্জল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে আটক করা হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আমির হোসেন লাশ তিনটি উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় লাশগুলো উদ্ধার করে চেয়ারম্যানঘাটে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার (আজ) ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। গতকাল বিকাল সোয়া ৩টার দিকে পাঁচ ডাকাত আটকের বিষয়টি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। তবে ডাকাত নিহতের বিষয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নোয়াখালী জেলার মেঘনা নদীসংলগ্ন হাতিয়া উপজেলার ঘাসিয়ারচর একটি অপরাধপ্রবণ অঞ্চল। ওই চরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ডাকাত খোকন গ্রুপ এবং ডাকাত ফখরুল বাহিনী বুধবার রাত ৩টার দিকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের তিনটি আভিযানিক দল ঘাসিয়ারচরে অভিযান চালায়। ডাকাত দল কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিচ্ছিন্নভাবে নৌকাযোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর চর আবদুল্লাহ থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গোলা, ৬টি রামদা ও ৫টি বল্লমসহ ডাকাত খোকন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্রসহ ডাকাতদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগে চরের নিয়ন্ত্রণ ছিল ডাকাত খোকনের হাতে। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় সে। তারপর চর এলাকা নতুন করে নিয়ন্ত্রণ নেয় তার ভাই ফখরুল। কয়েক দিন আগে খোকন জামিনে এসে চরের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ডাকাত ফখরুল ও খোকন বাহিনীর মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়। নিহত দুজন ডাকাত ফখরুল গ্রুপের সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর