শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

যুুক্তরাষ্ট্র দেনার দায়ে জর্জরিত!

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি জাতীয় দেনায় জর্জরিত। এর পরিমাণ ৩১ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১.১২৩ ট্রিলিয়ন ডলার। করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটার প্রথম মাসেই দেনার খতিয়ানে ১ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছিল। ২০২০ সালে এর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছিল। এরপর অতিবাহিত হয়েছে প্রায় দুই বছর। করোনায় লকডাউনে থাকাবস্থায় জাতীয় বাজেটের চেয়ে ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার অধিক ব্যয় করতে হয়েছে। চলতি ২০২২ সালের জাতীয় বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

চলতি বছর কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর জাতীয় দেনার পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার করে বাড়তে থাকলেও জাতীয় প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষা নীতির কারণে জনজীবনে স্বস্তি থাকবে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের পরিকল্পনায় জাতীয় দেনার ক্ষেত্রটিকে অনেকে তুচ্ছ বিবেচনা করছেন। একই সঙ্গে রয়েছে মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার স্বার্থে ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখা। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতির জাঁতাকলে অতিষ্ঠ আমেরিকায় আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। এরপর মাস তিনেক হলো কিছুটা নিম্নমুখী হয়। কিন্তু এখন আবার বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করছেন। জ্বালানি তৈরির ব্যবস্থাপনা খরচ মেটানোর পাশাপাশি গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে সরবরাহ ব্যবস্থার সমন্বয় ঘটানো সম্ভব না হওয়ায় সহসাই গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, গত বুধবারও প্রতি গ্যালন গ্যাসের গড় মূল্য ছিল ৩.৮৩ ডলার। এ অবস্থায় ওপেক (অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ) এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ বুধবার তেল উৎপাদনের পরিমাণ দৈনিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে গ্যাসের বাজারে।

সর্বশেষ খবর