বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
ওসমানীনগর ট্র্যাজেডি

পরিবারের তিনজনের পর মারা গেলেন হুসনে আরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

জেনারেটরের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে স্বামী, ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুর পর চলে গেলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হুসনে আরা বেগম (৪৫)। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পাঁচ সদস্যের পরিবারের মধ্যে এখন বেঁচে আছেন একমাত্র ছেলে সাদিকুল ইসলাম। হুসনে আরা সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ধিরারাই গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে একই উপজেলার তাজপুর স্কুল রোডের ভাড়া বাসায় জেনারেটরের ধোঁয়া থেকে ভয়াবহ দুঃখজনক ঘটনা (ট্র্যাজেডি) ঘটে। এতে তিনি স্বামী এবং এক ছেলে ও এক মেয়েকে হারিয়ে ছিলেন। চলতি বছরের ২৫ জুলাই তাজপুরের ওই বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী হুসনে আরা বেগম, ছেলে সাদিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলাম এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার ১১ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেয়ে সামিরা ইসলাম। ৩ আগস্ট কিছুটা সুস্থ হলে ওসমানী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেন হুসনে আরা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম। হুসনে আরা বেগমের ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন হুসনে আরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার রাতে মারা যান তিনি।  এদিকে, বাসার ভিতর থেকে অচেতন অবস্থায় প্রবাসী পরিবারের পাঁচজনকে উদ্ধার ও তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। ওসমানী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফেরার পর হুসনে আরা ও তার ছেলে সাদিকুলের বক্তব্য নেন তৎকালীন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। এর মধ্যে মারা যাওয়া বাবা ও ছেলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও পৌঁছায় পুলিশের হাতে। মৃত্যু রহস্য নিয়ে গত ২৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জেনারেটরের ধোঁয়া থেকে পরিবারের সদস্যদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ থেকে ট্র্যাজেডি ঘটে।

সর্বশেষ খবর