চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৮ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। প্রতি কেজি চাল ৪২ ও ধান ২৮ টাকা দরে কেনা হবে। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে এ ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হবে। গতকাল সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, এ বছর ৫ লাখ টন চাল ও ৩ লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। গত বছর আমন মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছিল সরকার। ধান ও চালের দাম নির্ধারণে কৃষকের স্বার্থ দেখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিন-চার বছর ধরে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কোনো ধান কেনা হচ্ছে না। যেমন আমরা অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের থেকে ধান ক্রয় করি, আবার কৃষকের তালিকা ধরে লটারির মাধ্যমে সংগ্রহ করি। টাকাও সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো সুযোগ নেই।’
বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সব কিছু আমাদের মাথায় আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। আমাদের প্রস্তুতি আছে। বাংলাদেশে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করি না।’ ওএমএসের আটায় ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না- এ বিষয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, এমন কোনো প্রস্তাব হয়নি। বৃদ্ধিও করা হয়নি। প্রতি কেজি আটার দাম ১৮ টাকাই আছে। সরকারি আটার দাম না বাড়ানোর কারণ হলো, অন্ততপক্ষে যারা নিম্ন আয়ের তাদের জন্য এটা সহায়ক হবে।
আমনের লক্ষ্যমাত্রা ও উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমন আমাদের একটা বড় ফসল। এখন অবশ্য বোরো অনেক বেশি হয়েছে। ২ কোটি টন বা এর বেশি বোরো হয়। আর আমন হয় ১ কোটি ৫০ টনের মতো। এ বছর শ্রাবণ মাসে এক দিন বৃষ্টি হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই চিন্তিত ছিলাম যে, ধান লাগানো যাচ্ছে না। আমন হলো ফটোসেনথেটিক। দিন ছোট হয়ে এলে আমন ধানে ফুল এসে যায়। ফুল এলেই উৎপাদন কমে যায়। ধান বড় হতে পারে না। কিন্তু একদম শেষের দিকে কৃষক সেচ নিয়ে নানাভাবে মোটামুটি চাষ করেছেন।’ প্রকৃতি সহায়ক হলে বোরোতেও কোনো ঝুঁকি আসবে না বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।