মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে নেতা-কর্মীরা

মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা

সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে নেতা-কর্মীরা

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল। তাই দলে ছোটখাটো বিবাদ-বিসংবাদ থাকতে পারে। তবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সব স্তরের নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন। আর ছোটখাটো বিবাদ-বিসংবাদে দলে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। মাহবুবুল আলম ফারুক বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে বরগুনায় দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েই রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখার যে কৌশল নিয়েছে, তাতে সরকার সফল হবে না। তিনি বলেন, ‘আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলায় কর্মিসভা করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছি। ইতোমধ্যে বরগুনা পৌরসভা ছাড়া নয়টি ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আমরা গঠন করেছি।’ বরগুনায় বিএনপি আগের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার কারণেই এখন দল শক্তিশালী। প্রতিটি দলীয় কর্মসূচিতে সব স্তরের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ নিচ্ছেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়ন হলে অবশ্যই বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) সংসদীয় আসনে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী থাকলেও বরগুনা-১ আসনে কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে শরিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারছি না।’ বিএনপি থেকে এই আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মাহবুবুল আলম ফারুক বলেন, বরগুনা জেলায় এ সরকারের তিন মেয়াদে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন না হলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী বিভিন্ন প্রকল্পের নামে টাকা লুট করে অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। গ্রামের রাস্তা এখনো ৩০ বছর আগে যা ছিল তেমনই রয়েছে। অথচ নেতা-কর্মীদের পকেটের উন্নতি হয়েছে কয়েক গুণ। জনগণের কাছে প্রতিশ্রুত দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন বরগুনায় হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কোথায় আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুত বুড়ীশ্বর (পায়রা) আর বিশখালী ব্রিজ? কোথায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল? দীর্ঘ কয়েক বছরেও তারা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালু করতে পারেনি।’ বরগুনা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি কোন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন চার বছরে? জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে উন্নয়ন থেকে তাদের বঞ্চিত করেছেন। বরগুনার ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন।’

সর্বশেষ খবর