শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

মনোনয়ন তোলার পর প্রার্থী জানলেন ভোটারই নন

নাটোর প্রতিনিধি

তিন বছর ধরে বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নে বিভিন্ন সামাজিক সেবা দিয়ে আসছেন তরুণ ব্যবসায়ী লালন (৩২)। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া ওই ইউনিয়নের ভোটার লিস্টে নিজের নাম খুঁজে পাননি তিনি। পরে জানতে পারেন লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নে দিলালপুর গ্রামের ভোটার তালিকায় তার নাম রয়েছে। নির্বাচনে আগ্রহী লালন বলেন, আমি নির্বাচনে যেন প্রার্থী হতে না পারি সে জন্য প্রতিপক্ষ কারসাজি করে আমার ঠিকানা পরিবর্তন করে দিয়েছে।

জানা যায়, নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য হিসেবে মনোনয়নপত্র তোলেন সংশ্লিস্ট ওয়ার্ডের বাহিমালি গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে লালন। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৪২১৪৩৯৮৬৬৩। নির্বাচন কমিশনের ডিজিটাল পরিচয়পত্রে তার ঠিকানা হিসেবে গ্রাম-বাহিমালি, ডাকঘর-হারোয়া ৬৪৩০, বড়াইগ্রাম, নাটোর লেখা রয়েছে।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে মনোনয়নপত্র তোলার পর তিনি ভোটার লিস্টে তার নাম খুঁজে পাননি। তখন অনলাইনে চেক করে জানতে পারেন তার স্থায়ী ঠিকানা তথা নাগরিকত্ব স্থানান্তর করে লিপিবদ্ধ হয়েছে গ্রাম : দিলালপুর, ডাকঘর-দয়ারামপুর-৬৪৩১, লালপুর, নাটোর। এ তথ্য পাওয়ার পর তিনি, তার স্বজনরা ও সমর্থকরা বিভিন্ন জনের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, এর কারণ জানতে ও নিজ এলাকায় ভোটার ঠিকানা তথা নাগরিকত্ব পুনঃস্থানান্তরের জন্য।

এ ব্যাপারে মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলীম বলেন, ভোটার স্থানান্তর করতে হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যের প্রত্যয়নপত্রের প্রয়োজন হয়। তাই বিষয়টি আমার অজানা। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, বিষয়টি তার অজানা। লালপুরের ওয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এটা কীভাবে হলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। এ বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব-বিন-শাহাব বলেন, নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সব প্রার্থীর কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। এই লিস্টে নাম না থাকলে আপাতত আর কিছুই করার নেই।

সর্বশেষ খবর