শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই

-সায়েম সোবহান আনভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই

আইসিসিবিতে গতকাল ‘বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২২’ অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও পরিচালক সাবরিনা সোবহানসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেক কাটেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন-বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই। আমার কাজ ছিল জুয়েলারি খাত গুছিয়ে  আনার। সেটা করেছি। এ শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ সারা দেশের ৪০ হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর। বাংলাদেশে এই যে বড় বড় উন্নয়ন হচ্ছে। আরও উন্নয়ন পরিকল্পনা হচ্ছে, এগুলো একটা সময় আমার কাছে স্বপ্ন মনে হতো। কিন্তু আমার এখন অনেক সাহস হয়ে গেছে। আমি এখন বাংলাদেশে যে-কোনো মেগা শিল্পকারখানা করার জন্য প্রস্তুত। কারণ আমার এ শক্তির জোগান দিচ্ছে সরকার। এ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নে মিরাকল ঘটিয়েছে; যা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় অবিশ্বাস্য রোল মডেল।

গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা-আইসিসিবিতে অনুষ্ঠিত ‘বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, ২০২২’-এ সভাপতির ভিডিও বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান ও বাজুসের অন্য নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন।

বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, আমি চাই আগামী দিনে বাংলাদেশি জুয়েলারি খাতের নামও পোশাক শিল্পের মতো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক। এটা আমাদের সোনার বাংলাদেশ, সোনা দিয়েই ভরতে হবে। আমার যে জুয়েলারি কারখানা হচ্ছে, সেখানে প্রায় ১২ হাজার ভরি উৎপাদন করব। প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করবেন। আমি পাঁচ বছরের যে রোডম্যাপ করেছি, সেখানে প্রায় ৩০ হাজার ভরি পর্যন্ত গহনা তৈরি করব। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক আমার কারখানায় কাজ করবেন। আমার মতো যদি আরও ১০ জন উদ্যোক্তা আসেন, এ জুয়েলারি শিল্প বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করবে। এ শিল্প অন্য শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে।

সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, জাপানে কিন্তু কোনো কাঁচামাল নেই। আমরাও একই অবস্থানে। আমাদের কোনো কাঁচামাল নেই। তাহলে জাপান কী করছে? কাঁচামাল আমদানি করে রূপান্তরের পর উচ্চমূল্যে তারা রপ্তানি করছে। এটাই ব্যবসার থিম। আমাদের একই থিম অনুসরণ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বর্ণ কারিগররা বিশ্বসেরা। বাংলাদেশে একটা ভালো ডিজাইন ইনস্টিটিউট নেই। ইনস্টিটিউট নিয়ে আমার অনেক বড় স্বপ্ন আছে। আমাদের চারুকলা ইনস্টিটিউট আছে। আমার চিন্তায় আছে ডিজাইন স্টুডিও গড়ে তোলার। তা হলেই এ শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।

বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও বাজুস অ্যাম্বাসাডর মমতাজ বেগম এমপি। অনুষ্ঠানে ঢাকার সব বাজুস সদস্য, সারা দেশের জেলা শাখাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা শাখাগুলোর সভাপতিসহ প্রায় দেড় হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরে সারা দেশের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বাজুস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সভায় সাংগঠনিক দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।

এ ছাড়া আইসিসিবিতে বিকালে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে জাতীয় প্রতিনিধি সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় কর্মপরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কর্মপরিধি তুলে ধরেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীয় কুমার রায় ও এনামুল হক খান দোলন, সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, এম এ হান্নান আজাদ, বাদল চন্দ্র রায়, ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

সর্বশেষ খবর