সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নড়াইল প্রতিনিধি

আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার বাম হাতের একাধিক আঙুল কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন এবং পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল দুপুর ২টার দিকে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত এনামুল হক এনা (৫০) পুরুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। অন্যদিকে এ ঘটনার পর পরই প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা খাইরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় আহত এনা গ্রুপের লোকজন। এ ছাড়া বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের হাড়িয়ারঘোপ এলাকায় হিমু শেখ (৪০) নামে প্রতিপক্ষের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে এনা মেম্বারের লোকজন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল পুরুলিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার তমজিদ শেখ, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম ও সাফু শেখের। গত বছর ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচনে এনার কাছে সাফু শেখ হেরে যাওয়ায় দুই গ্রুপের বিরোধ বড় আকার ধারণ করে। গতকাল দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন ইউপি সদস্য এনামুল হক এনা। এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা তমজিদ শেখের বাড়ির কাছাকাছি এলে একদল দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার বাম হাতের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে এবং পা ভেঙে দেয়। ইউপি সদস্য এনার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর পরই প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং হিমু শেখ (৪০) নামে প্রতিপক্ষের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে ইউপি সদস্য এনা গ্রুপের লোকজন।

আহত ইউপি সদস্য এনামুল হক এনার ছোট ভাই আজিজুর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে, নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে, তাদের বিচার চাই আমরা।’

এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার কারণে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা হতে পারে। আহত ব্যক্তিদের পরিবার আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খবর পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর