মুন্সীগঞ্জের আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভ. গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী জেসি মাহমুদের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত বিজয় রহমানের গার্লফ্রেন্ড আদিবা আক্তারকে গতকাল দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিহত জেসির বড় ভাই শাহরিয়ার জিদান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় মুন্সীগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় রহমান ও পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহিদ হাসানের মেয়ে আদিবা আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। দ্বৈত প্রেমের দ্বন্দ্বের জেরে জেসি খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, আদিবা ও জেসি উভয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিজয়ের। সম্প্রতি বিজয় আদিবাকে বিয়ের পরিকল্পনা করেছে এমন তথ্য পায় জেসি। এরপর জেসি ক্ষুব্ধ হয়ে আদিবার কাছে বিজয়ের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে তার একান্ত আলাপচারিতার কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠায়। সেটি দেখে আদিবা বিজয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। বিষয়টি মিটমাট করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয়ের বাসার পাঁচ তলায় তারা তিনজন মিলিত হয়। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আদিবা ও বিজয় জেসিকে মারধর করে। এ সময় বিজয় জেসির গলা চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে বিজয় স্থানীয় আরও কয়েকজনের সহায়তায় জেসিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে পথেই জেসি মারা যায়। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনার জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোর্টগাঁও এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে জেসি মাহমুদকে (১৭) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।