শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফ্যানে ঝুলছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পড়ে ছিল চিরকুট

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) হোস্টেলে অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সিলিং ফ্যানে ঝোলা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষার্থীর নাম মিনহাজুল করিম ভূঁইয়া (২৮)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই। তিনি কলেজের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থলে একটি নোট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ তার মরদেহ গতকাল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দিনে ইন্টার্ন শেষ করে হোস্টেল ক্যান্টিনে লাঞ্চ করেন মিনহাজ। বুধবার রাতে সার্জারি-১ বিভাগে তার নাইট ডিউটি ছিল। কিন্তু যথাসময়ে হাসপাতালে আসছিলেন না। একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করছেন না। রাত ৯টা পার হয়ে গেলেও হাসপাতালে না আসায় এক ইন্টার্নিকে তার হোস্টেলে পাঠানো হয়। দরজা ধাক্কা দিলেও সাড়া পাওয়া যায় না। জানালা দিয়ে দেখেন, অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায়

সিলিং ফ্যানে মিনহাজ ঝুলে আছেন। দরজা ভেঙে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু এর অনেক আগেই তিনি মারা যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের একজন প্রভাষক জানান, মিনহাজ তার সরাসরি ছাত্র। এখন ২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্ন করছেন। কিন্তু তিনি ছিলেন ২৪ ব্যাচের। ছাত্রজীবনে একাধিকবার ফেল করায় তার মধ্যে মানসিক বিষণœতা ছিল। আত্মহত্যার পেছনে বিষণœতার পাশাপাশি পারিবারিক কোনো কারণও থাকতে পারে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘যে কক্ষে মিনহাজের লাশ পাওয়া যায়, সেখানে তিনি একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নোট উদ্ধার করি। সেখানে লেখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”

লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, লাশ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়েছে। পোস্টমর্টেমের পর বিস্তারিত বলা যাবে। প্রাথমিক ধারণা, মিনহাজ আত্মহত্যা করেছেন।

সর্বশেষ খবর