শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন আবদুল মজিদ শিকদার (৭২) ও স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৪৭)। গতকাল ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ভাটারার সাঈদনগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আবদুল মজিদ ভাটারার স্থানীয় বাসিন্দা। তাসলিমা আবদুল মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী।

ভাটারা থানার এসআই মোহাম্মদ আলী জানান, সাঈদনগর এলাকার ওই ভবনের তৃতীয় তলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম আসাদুজ্জামান বলেন, সাঈদনগরের ওই বাসায় স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। তাদের দুই ছেলে ইতালি প্রবাসী। ভোরে রান্নাঘরে রান্না করতে গেলে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যান স্বামী-স্ত্রী। স্বামীর বুকের ওপরে পড়েছিল স্ত্রীর লাশ। ধারণা করা হচ্ছে- স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও মারা গেছেন। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রাফি আহমেদ ফারুক বলেন, সাঈদনগর এলাকার ১০৬ নম্বর বাড়ির ষষ্ঠ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছিল। আমরা গিয়ে দুটি লাশ পেয়েছি। গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান, ওই কর্মকর্তা।

গাজীপুরে রান্নাঘরে গ্যাসের আগুনে পুড়ে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর মৃত্যু : গাজীপুরে রান্নাঘরে চুলায় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে পুড়ে ফারজানা হক (৩০) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মারা গেছেন। তার স্বামী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট পদে কর্মরত। গতকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন নলজানীতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি শরীয়তপুর জেলা সদরের আঙ্গনিয়া এলাকার মীর আজিজুল হকের মেয়ে। তার স্বামী পুলিশ সার্জেন্ট শাহ নেওয়াজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানাধীন লাউঘাটার সাইদুর রহমানের ছেলে। জিএমপি বাসন থানার ওসি সানোয়ার জাহান জানান, সার্জেন্ট শাহ নেওয়াজ তার স্ত্রী ও নুজাইন নেওয়াজ (৪) নামের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে নলজানী এলাকার প্লাটিনাম টাওয়ার ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। গতকাল সকালে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যান সার্জেন্ট শাহ নেওয়াজ। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে ঘরের জানালা দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে দেখেন। এ সময় তারা আগুন নিভিয়ে প্রবেশ করে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ফারজানা হক কচির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তিনি জানান, নিচতলায় সিলিন্ডার থেকে পাইপ দিয়ে রান্না ঘরের চুলায় গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে পুরো ঘরে জমে ছিল। চুলা জ্বালাতে গেলে দিয়াশলাইয়ের আগুন ঘরে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লিকেজ হয়ে রান্নাঘরে জমেছিল। ফারজানা হক যখন চুলায় আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন তখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

 

সর্বশেষ খবর