সংবাদপত্র শিল্পের সুরক্ষায় নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক এবং ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এ ছাড়া এ খাতের করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। অন্যদিকে বিজ্ঞাপনে উৎসে কর কর্তন বন্ধসহ বেশকিছু প্রস্তাব করেছে টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো।

গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রাকবাজেট বৈঠকে এ দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। বক্তব্য দেন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ, প্রথম আলো সম্পাদক ও নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক ও নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। নোয়াবের লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়- সংবাদপত্রের প্রধান উপাদান নিউজপ্রিন্টের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দেড় বছর আগে প্রতি টনের দাম ছিল ৫৭০ ডলার, যা ১ হাজার ৫০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। এখন কিছু কমেছে কিন্তু সার্বিকভাবে নিউজপ্রিন্টের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, এসব প্রস্তাব আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। রাজস্ব বাড়ার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সুতরাং এ খাতকে সহযোগিতা করা উচিত।

এ কে আজাদ বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র প্রায় রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। কভিড মহামারি তা ত্বরান্বিত করেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনীতিতে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি এনেছে। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সংবাদপত্র শিল্পের টিকে থাকা কঠিন।