নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাফায়েত শেখ ওরফে সারাফ (৪২) নামে একজনের বাম হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষ। হামলায় তার ডান হাতের কবজি ও দুই পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় সারাফের ভাই ফুল মিয়া শেখ (৫০), শামীম শেখ (২৭) ও লোকমান হোসেন (৩৫) নামে আরও তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চাঁচুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌরুত মোল্যাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সারাফ ওই গ্রামের ছলেমান শেখের ছেলে। তিনি উপজেলার চাঁচুড়ী বাজারে একটি পরিবহনের কাউন্টারম্যান হিসেবে কাজ করেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চন্দ্রপুর গ্রামের মহাসীন মোল্যা ও রবিউল মোল্যা গ্রুপের সঙ্গে আতাউর মৃধা ও লায়েক শেখ গ্রুপের বিরোধ চলছিল। গতকাল সকাল ৭টার দিকে আতাউর মৃধা গ্রুপের সারাফ শেখ কর্মস্থল চাঁচুড়ী বাজারের ঈগল পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে যান। এ সময় আগে থেকে ওতপেতে থাকা প্রতিপক্ষ গ্রুপের মহাসীন মোল্যা ও রবিউল মোল্যার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী রাম দা, ছ্যানদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সারাফের ওপর হামলা চালায়। সারাফ শেখ প্রাণ ভয়ে দৌড়ে নিজ গ্রামের আজোয়ার মোল্যার বাড়িতে আশ্রয় নিতে গেলে সেখানেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা সারাফের ভাইসহ একই গ্রুপের আরও তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত সারাফ শেখকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ও শামীম শেখকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) প্রণব কুমার সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় তৌরুত মোল্যা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
