শিরোনাম
রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রমাণ চেয়ে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি, ইবিতে জড়িত আরও তিনজন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকলে তা লিখিত আকারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অথবা কমিটির অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। গতকাল এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া নবীন ছাত্রী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনের নাম প্রকাশ করেছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এদিকে হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার বর্ণনা দিতে গতকাল দুপুরে বাবা ও মামার সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় তারা বাড়ি ফিরে যান। ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি এখন নিরাপদ আছি। তদন্ত কমিটি সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছে এবং আমার লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।’ ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে সুষ্ঠু তদন্তের পর ন্যায়বিচার করা হবে। আমি চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, যেন এমন ঘটনা আর কোথাও না ঘটে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, সন্ধ্যার আগে বক্তব্য প্রদান শেষে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন। হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার দিন কেঁদেছিলেন গণরুমের অন্য শিক্ষার্থীরাও। ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। এখন অনেকে মুখ খুলছেন। নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাওয়াবিয়া। তারা সবাই ২০২১-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগের বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছেন।

মীম বলেন, ‘অন্তরা আপু রাতে আমাকে ফোন করে তাকে (ভিকটিম) গণরুমে নিয়ে যেতে বলেছে। আমি ও ঊর্মি তাকে গণরুমে রেখে চলে আসি। আমরা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত নই।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রী জানান, ঘটনার রাতে ভিকটিমকে আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলার হালিমা খাতুন ঊর্মির মাধ্যমে দোয়েল-১ গণরুমে ডেকে নিয়ে যান ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা।

গত রবিবার রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নবীন এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীরা। নির্যাতনের পরদিন ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী।

সর্বশেষ খবর