সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জাতিসংঘে ভোটে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিল বাংলাদেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৩ জানুয়ারি উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এ কারণে এরই মধ্যে এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাস।

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাকা জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দর্শনকে ধারণ করেই বাংলাদেশ শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে চলছে। আমরা এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ যে, জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি যে কোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এই বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর গুরুত্ব দিই। সেহেলী সাবরীন বলেন, সার্বভৌম, সব রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং সম্মানের নীতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতিসংঘের সনদে উল্লিখিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ইউক্রেনের পরিস্থিতি, বিশেষ করে বেসামরিক প্রাণহানি, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি এবং বিশ্বজুড়ে আর্থ-সামাজিক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের অর্থবহ এবং টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা ভোটদানে বিরত ছিলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর