শিরোনাম
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

খুলনায় শর্তসাপেক্ষে কর্মে ফিরেছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় শর্তসাপেক্ষে সাত দিনের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা বিএমএ ভবনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি, সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে চিকিৎসকদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন চিকিৎসক নেতারা।

বিএমএ খুলনার নেতারা বলেন, সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল খুলনায় চিকিৎসক নেতারা ও প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। জানা যায়, খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর, লাঞ্ছিত ও অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের এএসআইকে গ্রেফতার দাবিতে ১ মার্চ থেকে খুলনার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। বিএমএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিযুক্তরা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তারপরও পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে দুই পক্ষের। সব বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানে চিকিৎসকরা সাত দিনের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। চিকিৎসাক্ষেত্রে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যার যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানা ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অভিযুক্ত পুলিশের এএসআইকে সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে তাকে বিচারের আওতায় আনার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান বিএমএ খুলনার সভাপতি শেখ ডা. বাহারুল আলম। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা ঐকমত্য ঘোষণা করেছেন। সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা না হলে পুনরায় কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএমএর কার্যকরী পরিষদের বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন চিকিৎসকরা।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনার শেখপাড়ায় হক নার্সিং হোমে ডা. নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর ও অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় তিনি সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। অপরদিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী তার শিশু কন্যাকে জিম্মি করে তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ডা. নিশাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।

 

সর্বশেষ খবর