শিরোনাম
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩৭ বছর পর বন্ধুর খোঁজ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ৩৭ বছর পর প্রাণের বন্ধু হারুনুর রশিদ হারেজকে খুঁজে পেয়েছেন প্রবাসী মহিরুদ্দিন। তবে এখনই তাদের দেখা হচ্ছে না। মহিরুদ্দিন কানাডা থেকে দেশে আসার পর বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে। জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় একটি দৈনিকে ‘সাক্ষাৎ চাই’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। সেই বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘আমি মহিরুদ্দিন ১৯৮৬/৮৭ সালে জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে অবস্থানকালে হারুনুর রশিদ/শেখ রশিদ নামে একজন সেখানে ছিল। যথাসম্ভব তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী। ওই সময়ের পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছা। তাই ফোন নম্বর- ০১৭৩৪৩০৬৭৮৬-তে যোগাযোগ করলে বা কেউ সন্ধান দিলে খুব খুশি হব। সাক্ষাৎপ্রার্থী, মহিরুদ্দিন।’ এমন বিজ্ঞাপন প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহিরুদ্দিনের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। ফরিদপুরের মধুখালীর বিভিন্ন মানুষ এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন হারুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি রয়েছেন তাদের এলাকায়। স্থানীয় সবাই তাকে হারেজ নামে চেনেন। অনেকেই হারেজের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, মহিরুদ্দিন তার ভালো একজন বন্ধু ছিলেন। হারুনুর রশিদ ওরফে হারেজ বলেন, আমি জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে থাকতাম। আমার পাসপোর্টে নাম ছিল শেখ রশিদ। আমরা ওখানে তিন বন্ধু থাকতাম। আমার পাসপোর্ট জটিলতার কারণে পুলিশি ঝামেলায় পড়ি। কিছুদিন জেলও খেটেছি। দুই বন্ধু আমাকে জেলে দেখতেও আসত। এরপর ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে আমি দেশে চলে আসি। আমার যতটুকু মনে পড়ে মহিরুদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামে। আমিও তাকে অনেক খুঁজেছি। চিঠি লিখেছি। কিন্তু দীর্ঘ ৩৭ বছরেও তার কোনো খোঁজ পাইনি। স্থানীয় কামালদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ওয়ালিদ হাসান মামুন জানান, হারুনুর রশিদ জার্মানিতে থাকতেন জানতাম। ৩৭ বছর পর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বন্ধুকে খোঁজার বিষয়টি আজকালকার জমানায় একেবারেই বিরল। হারুনুর রশিদ ওরফে হারেজ (৬৫) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের কামালদিয়া গ্রামের মৃত আবদুল মাজেদ শেখের ছেলে। বর্তমানে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তিনি বাড়িতেই থাকেন। নিজের খেত-খামারে সময় দেন।

সর্বশেষ খবর