বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেইলি রোডের ইফতার বাজার

মোস্তফা মতিহার

বেইলি রোডের ইফতার বাজার

সারা দিনের সিয়াম সাধনা শেষে ইফতারের সময়টা রোজাদারদের জন্য খুবই আনন্দের। যার কারণে সাধ্য অনুযায়ী ইফতারে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার রাখার ব্যবস্থা করেন রোজাদাররা। রাজধানীর বাসিন্দারা একটু রসনাবিলাসী বলে ইফতারিতে আকর্ষণীয় খাবার প্রায় প্রতিদিনই রেখে থাকেন। পুরান ঢাকার চকবাজারকে কেন্দ্র করে ঢাকার ইফতারের আভিজাত্য গড়ে উঠলেও বেইলি রোডের ইফতার বাজার সেই আভিজাত্যে ভাগ বসিয়েছে।

এক যুগ ধরে বেইলি রোডের ইফতার সমাদর অর্জন করেছে রাজধানীর বাসিন্দাদের মাঝে। যার কারণে ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের পরিবর্তে বর্তমানের বেইলি রোডের ইফতারের দোকানগুলোতেই ভিড় জমান রাজধানীবাসী। নতুন ঢাকার আভিজাত্য এবং পুরান ঢাকার স্বাদের ঐতিহ্যের সমন্বয়ে তৈরি হয় বেইলি রোডের ইফতারি। মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, রমনা এলাকার বাসিন্দারাই মূলত এখানকার ক্রেতা। তবে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী ও দূর-দূরান্ত থেকেও ইফতারি কিনতে ছুটে আসেন রসনাবিলাসীরা।

গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ইফতার বাজারের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত বেইলি রোডের দোকানি ও কর্মচারীরা। ব্যস্ততার কারণে কথা বলার ফুরসত পাচ্ছিলেন না। তবে তারা জানান, খাবারের মান ও স্বাদের কারণে এবং পুরান ঢাকার একটা ফ্লেভার থাকার কারণেই বেইলি রোডে ছুটে আসেন ক্রেতারা। এই এলাকার ইফতার বাজারের মধ্যে চাহিদার নিরিখে সবার শীর্ষে রয়েছে ক্যাপিটাল ইফতার বাজার ও নবাবী ভোজ। এরই ধারাবাহিকতায় অন্য দোকানগুলোতেও বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। অন্য দোকানগুলোর মধ্যে ইফতারের প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে বারবিকিউ, গার্ডেন ওয়েসিস, সুইস, ডেকেরাট, ফ্রেশকো, ক্যাপিটাল ইফতার বাজার, নবাবী ভোজ, ভিলেজ, সিটি ফ্রুট জুস বার, পিজা মাস্তান, জাফরান জুস বার, বিএফসি, কেএফসিসহ একাধিক অভিজাত প্রতিষ্ঠানে। তুলনামূলকভাবে বেইলি রোডের ইফতারির দাম কিছুটা বেশি বলেই ক্রেতাদের অভিযোগ। সুতিকাবাব, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুচপের পাশাপাশি ডিমের হালুয়া, লাবাং, লাচ্ছি, ফালুদা, মিষ্টি দই, জর্দা, পনির সমুচা, কিমা সমুচা, কিমা পরোটা, পনির রোল, পনির পরোটা, চিকেন শর্মা, পাটিসাপটা, খাসির হালিম, মুরগির হালিম, তালের বড়া, জাফরানি জিলাপি, চিকন জিলাপি, সাসলিক, ড্রামস্টিক, অনথন, জাফরানি শরবত, ফ্রোনবল, কোপ্তা, জুস, লুচি, ছোলাবুট, ডাবলি গুমনি, বড়বাপের পোলায় খায়, ছানা মসলা, ফিশ কোপ্তা, লাচ্ছা সেমাই, গ্রিল স্যান্ডউইচ, বিফবল, বিফ কাটলেট, ইরানি কাবাব, মাটন কাবাব পাওয়া যাচ্ছে বেইলি রোডের দোকানগুলোতে। এ ছাড়া এখানে পুরি, ডিমচাপ, চিকেন চাপ, জালিকাবাব, বিফ স্টিক, শামি কাবাব, ¯িপ্রং রোল, চিকেন কাটলেট, চিকেন সমুচা, গ্রিল, এগ চাপ, রেশমি কাবাব, বিফ শিক, মাটন শিক, চিকেন ফ্রাই, চিকেন উইংসের কদরও বেশ। বেইলি রোডের বিভিন্ন দোকানে খাসির চাপ ১৫০০, গরুর চাপ ৮০০, সুতিকাবাব ১২০০, গ্রিল চিকেন ৪০০, টানা পরটা ৫০, মাটন বাটি কাবাব ২০০, দেশি টিক্কা ১৮০, গরুর কলিজা ১২০০, প্রতি পিস পনির সমুচা ৩০, ঝাল শিঙাড়া ১০, চিকেন কাটলেট ৮০, চিকেন সমুচা ২৫, প্রতি কেজি জাফরানি জিলাপি ৩০০, দই বড়া ২০০, লাবাং ১০০, জাফরানি শরবত ৫০, খাসির হালিম ৫০০, গরুর কালা ভুনা ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর