স্ত্রীর সামনে থেকে জোর করে তুলে নিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধরের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাড়িওয়ালাসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মানিকনগর মনোয়ারা হাসপাতালের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল্লাহ আল-সোহান (২৮)। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। থাকতেন খিলগাঁওয়ে।
গতকাল যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, আমরা নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে জানতে পেরেছি যে, দুই বছর আগে প্রেম করে দোলা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন সোহান। বিষয়টি উভয় পরিবারের লোকজন জানতেন। মঙ্গলবার দোলা মানিকনগরে তার বাবার ভাড়া বাসায় যান। কিন্তু তখন বাসায় কেউ ছিল না। এ সময় বাসার মালিক জামাল উদ্দিন এবং স্থানীয়রা দোলা ও সোহানের কাছে বিয়ের বিষয়ে জানতে চান। এরপর দোলা বিয়ের কাগজপত্র তাদের দেখান। দেখানোর পরই তারা দোলার কাছে থেকে জোর করে সোহানকে ছিনিয়ে নিয়ে বাসার পাশে নিয়ে কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সোহান অচেতন হয়ে পড়লে তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। ঢামেক সূত্র জানায়, আবদুল্লাহ আল সোহান বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার লাশের বুকের ওপরে লালচে দাগ রয়েছে। ওসি জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনার অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামালসহ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।