বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুদ্ধ গতি কমাচ্ছে প্রবৃদ্ধির : এডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি এক ধরনের চাপের মুখে পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। এ কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিও কমে আসছে বলে মনে করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গতকাল এডিবির প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২৩ তে এ তথ্য জানানো হয়। এডিবি ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সংকটেও ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কিন্তু আশাব্যঞ্জক। কেননা রপ্তানি গ্রোথ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটও প্রভাব ফেলেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির হারে ধীরগতির অন্যতম কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ। এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদার মধ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ গত বছর ছিল মাত্র ৬ দশমিক ২ শতাংশ, সেখান থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হবে। দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতেও। এডিমন গিনটিং বলেন, ‘সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রতিকূলতার প্রভাবেও তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। পাশাপাশি সব খাতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কঠিন সময়েও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ শক্তিশালী করা, আর্থিক খাত গভীর করা, এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো জরুরি।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সংগতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশি নবায়নযোগ্য শক্তি সরবরাহের দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এডিবির প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এ বছর বেসরকারি বিনিয়োগ কম হবে। কারণ জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে নানা কারণে উৎপাদন খরচও বেশি। রাজস্ব সংগ্রহেও ঘাটতি রয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে এনবিআরকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, এতে বিদেশি বিনিয়োগের গতি ধীর হয়ে আসবে।

সর্বশেষ খবর