বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বে-টার্মিনাল হবে আগামীর বন্দর

♦ ডিপিপি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে ♦ চালু হলে চাপ কমবে চট্টগ্রাম বন্দরে ♦ একসঙ্গে রাখা যাবে ৫০ লাখ কনটেইনার

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

বে-টার্মিনাল হবে আগামীর বন্দর

চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালের মাস্টার প্ল্যান, ফিজিবিলিটি আপডেট ও মাল্টিপারপাস টার্মিনালের ড্রইং-ডিজাইন প্রস্তুত করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরের এ মেগা প্রকল্পকে বলা হচ্ছে আগামীর আধুনিক বন্দর। যাতে বিশ্বের আধুনিক সব টার্মিনালের মতো থাকবে স্পেশাল জেটি, ব্রেক ওয়াটারসহ উন্নত বন্দরের সব সুবিধা। বে-টার্মিনাল চালু হলে চাপ কমবে চট্টগ্রাম বন্দরের। কমবে জাহাজ জট। হ্রাস পাবে আমদানি-রপ্তানি ব্যয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বে-টার্মিনালের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখন ডিপিপি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দ্রুত তা একনেকে উপস্থাপন করা হবে। ডিপিপি অনুমোদন হওয়ার পর দ্রুত টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে ২০২১ সালের অক্টোবরে বন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন। আরও ৮০৩ একর ভূমি প্রতীকী মূল্যে দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। বে-টার্মিনালের ফিজিবিলিটি আপডেট, মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন এবং মাল্টিপারপাস টার্মিনালের সব ড্রইং-ডিজাইন প্রস্তুত করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। প্রস্তাবিত দুটি কনটেইনার টার্মিনাল পিপিপি জিটুজি ভিত্তিতে কনসেশনে প্রাইভেট অপারেটর দিয়ে পরিচালনার জন্য সিসিইএ অনুমোদন দিয়েছেন। ব্রেকওয়াটার ও নেভিগেশনাল এক্সেস চ্যানেলের ডিটেইলড ড্রইং-ডিজাইন প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ইনটেরিম প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

জানা যায়, দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রাণ ভোমরা চট্টগ্রাম বন্দরের গতি বাড়াতে আউটার রিং রোডের লাগোয়া সাগর উপকূলে বে-টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বুঝে নেওয়া ৬৭ একর ভূমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। বে-টার্মিনাল চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর থেকে চাপ কমবে অনেকাংশ। বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বে-টার্মিনালে জাহাজ নোঙর করতে পারবে ২৪ ঘণ্টা। এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকবে রেল, সড়ক, নৌ ও এয়ারপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা। জাহাজ বার্থিংয়ের ক্ষেত্রে নাইট নেভিগেশনসহ ২৪ ঘণ্টা জাহাজ চলাচল করতে পারবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কনটেইনারের ভাড়া প্রতি এককে ২ হাজার ডলার থেকে ১ হাজার মার্কিন ডলারে নেমে আসবে। জাহাজ ভাড়া কমে যাবে। আমদানি ব্যয় হ্রাস পেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। কমবে বন্দরে জাহাজ জট। প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে একসঙ্গে কনটেইনার রাখা যাবে ৫০ লাখেরও বেশি। যাতে থাকবে স্পেশাল জেটি, ব্রেক ওয়াটার, এলপিজি, এলএনজি টার্মিনালসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

সর্বশেষ খবর