পাচার হয়ে আসার সময় উখিয়া থেকে গত শনিবার রাতে উদ্ধার করা আইসের বাজারমূল্য আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে র্যাব। গতকাল দুপুরে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, উদ্ধার করা আইসের ওজন ২৪.২ কেজি। এটি দেশে উদ্ধার হওয়া আইসের সবচেয়ে বড় চালান। এ সময় পুলিশের এক বহিষ্কৃত সদস্যসহ চার শীর্ষ চোরাচালানিকে গ্রেফতার করা হয়।
কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের একজন কক্সবাজারকেন্দ্রিক আইস চোরাচালানের অন্যতম হোতা ইরান মাঝি ও আরেকজন বাংলাদেশ পুলিশের বহিষ্কৃত সদস্য আলাউদ্দিন। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সদস্যরা উখিয়ার পালংখালীর শফিউল্ল্যাহ কাটা সংলগ্ন এলাকার ইরান মাঝির আস্তানায় অভিযান চালিয়ে এই আইস উদ্ধার করে। এ সময় গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন উখিয়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইমরান প্রকাশ ইরান মাঝি (৩৩), তার ভাই মো. রুবেল প্রকাশ ওরফে ডাকাত রুবেল (২৬), মৃত আলী আহমেদের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৫), টেকনাফের মৃত আবদুল করিমের ছেলে জয়নাল আবেদীন প্রকাশ ওরফে কালা বদা (৩৭)। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের মাদক চোরাচালান চক্রের যোগসাজশে দেশে অবৈধ মাদক আইস চোরাকারবারির সঙ্গে তারা জড়িত। তাদের চক্রের প্রধান ইরান মাঝি। তার নেতৃত্বে চক্রটির বেশ কয়েকজন সদস্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে কক্সবাজার ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিস্টাল মেথ বা আইসসহ পাচারে জড়িত। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চক্রটি মূলত কক্সবাজারকেন্দ্রিক একটি মাদক চোরাকারবারী চক্র এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের নির্ধারিত এজেন্ট রয়েছে। প্রথমে ইরান মাঝির নেতৃত্বে চক্রের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক চক্রের কাছ থেকে মাদকের চালান নিয়ে আসে, যা পরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়।