বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাজশাহী

বিএনপি-জামায়াতের ভোটে চোখ জাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি-জামায়াত। তবে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। রাজশাহী নগরীতে এখন তাদের কোনো ভোটব্যাংক নেই। তাই এখানে জাপা প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের টার্গেট এখন বিএনপি-জামায়াতের ভোট। সরকারের বিরোধিতার স্বার্থেই বিএনপি ও জামায়াত সিটি নির্বাচনে লাঙলকে বেছে নেবে বলে মনে করছেন জাপার মেয়র প্রার্থী স্বপন।

নির্বাচনে লাঙলের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ঘোষণা দিলেও এখনো মাঠে তৎপর নন। তবে স্বপন বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতের ভোট রাজশাহীর জন্য বড় ফ্যাক্টর। শুধু ফ্যাক্টর না, তাদের ভোট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আমরা চেষ্টা করব তাদের ভোট সংগ্রহের। আমাদের চেষ্টা ছাড়া তো কিছুই করার নেই। আমরা চেষ্টা করব যাতে তাদের ভোটগুলো নিয়ে আসতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। কেউ যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তখন তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়। আগ বাড়িয়ে তো কথা বলতে যেতে পারি না। তারা তো ওপেন ডিক্লারেশন দিয়েছে কোনো নির্বাচন করবে না। সেহেতু আমরা আমাদের মতো করেই সামনে অগ্রসর হচ্ছি।’ রাজশাহী নগর জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছে। পার্টির সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে জাপার কেন্দ্রীয় কমিটি। তিনি বলেন, আমাদের যারা নেতা-কর্মী আছেন সবাই মাঠে থাকব। অনেক আগেই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যেহেতু প্রার্থী চূড়ান্ত ছিল না তাই কাজ শুরু করা যায়নি। এখন প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিভিন্ন গ্রুপ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে ও মহল্লায় প্রচারণা চালানো হবে। লিফলেট বিতরণ থেকে শুরু করে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাবেন তারা নেতা-কর্মীরা। রাজশাহীতে দলের বিভাজনের প্রশ্নে জাপার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রাজশাহীতে জাতীয় পার্টির বিভাজন বলে কিছু নেই। রাজশাহীতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি, সবার মত নিয়েই মনোনয়নপত্র তুলেছি। ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার চিন্তাভাবনা থেকেই এটা করা হয়েছে। জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভাজন নেই, কোনো কোন্দল নেই, তৃণমূল থেকে নেতা-কর্মী পর্যন্ত সবাই এক অবস্থানে আছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা একাগ্রমনে মাঠে থাকবেন। স্বপন বলেন, যেহেতু মাঠে বিএনপি এখনো আসেনি, সেজন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী হবে, স্বতন্ত্র প্রার্থী দেবে কি না সেসব আমরা এখনো জানি না। ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে থাকছে, তবে তারাও মাঠে নামেনি। আমরা টুকটাক মাঠে নামছি। আর শক্তিশালী ক্যান্ডিডেট তো একজন আছেনই (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন)। সে হিসেবে ভোটের মাঠে আমাদের তিনজনকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দরকার, আমরা সেভাবেই করব। লাঙলের এই প্রার্থী আরও বলেন, নগরবাসী একটা শাসন (মেয়র লিটনের) তো দেখল ১০ বছর। ১০ বছরে রাজশাহীর জন্য তিনিও ভালো কিছু করেছেন। বৃহত্তর রাজশাহীর জন্য তার কাজগুলো খুবই ভালো। যেহেতু তার (মেয়র লিটন) প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আমরা মাঠে নামব বা নামছি, সে ক্ষেত্রে বলব- রাজশাহীর মূল সমস্যাটাই হলো বেকারত্ব। আমরা চাইব রাজশাহীর এ বেকারত্ব দূর হোক। আমার মূল লক্ষ্যই থাকবে বেকারত্ব দূর করে তরুণ সমাজকে সুন্দর-সুষ্ঠু পথে ফিরিয়ে আনা। জাতীয় পার্টি বিএনপির ভোটের দিকে তাকিয়ে থাকলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত একটাই- এ অবৈধ সরকার ও অবৈধ নির্বাচন কমিশনের আওতায় আমরা কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করব না। ভোটও দিতে যাব না। আমাদের দলে যারা পদপদবি নিয়ে থাকে, যারা দল করে, তারা কেউ নির্বাচনে যাবে না। রাজশাহীতে বিএনপির কোনো ভোটার ভোট কেন্দ্রেই যাবে না।’

 

সর্বশেষ খবর