শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাজশাহী

ফাঁকা মাঠেও চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যে অংশ নিচ্ছে না তা একরকম নিশ্চিত দলটির সিনিয়র নেতাদের কথায়। মাঠেও নেই বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণায় যেন ২০১৩ সালের ছাপ। নগর নেতারা সবাই থাকছেন প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের দৃষ্টির মধ্যে। পাড়া-মহল্লায় গত নির্বাচনে যেভাবে প্রচারণা চলেছিল, এবার তেমন কিছু চোখে পড়ছে না। খায়রুজ্জামান লিটন যেসব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, সিনিয়র নেতারা সবাই গিয়ে হাজির হচ্ছেন সেখানে। এমনকি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও হাজির থাকছেন একই অনুষ্ঠানে। ২০০৮ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন- এমনটা ধরে নিয়েই মাঠের কর্মীরা ছিলেন উল্লসিত। কিন্তু ফল হয় উল্টো। তাই ২০১৮ সালের নির্বাচনে কৌশল বদলে ইতিবাচক ফল পান লিটন। তবে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, এখনো ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীরা কাজ করছেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিটনের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারণা আরও জোরদার করা হবে। তবে মাঠ ফাঁকা হলেও আওয়ামী লীগের ভয়, বিএনপির ভোট কার বাক্সে যাবে। যদিও বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা কেন্দ্রে যাবেন না। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কাউন্সিলর প্রার্থীরা স্থানীয় ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। তারা ভোট দিলে মেয়র পদেও ভোট দেবেন। সেই ভোট কার বাক্সে যাবে, সেটা নিয়ে ভাবছেন তারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মুখে ভোটে না আসার কথা বললেও শেষ সময়ে ভোল পাল্টিয়ে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে বিএনপি। তাই আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে। মেয়র প্রার্থী লিটনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বিএনপির গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন বলেন, রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো সংকটে নেই আওয়ামী লীগ। বর্তমান মেয়র লিটন এখানে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। তাঁর পক্ষে রাজশাহী মহানগর ও জেলা কমিটির সব নেতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে প্রচারে নেমেছেন এবং তাঁর বিজয় নিশ্চিত বলেই তাঁরা মনে করছেন। ইতোমধ্যে রাজশাহীর সব সেক্টরের মানুষ মেয়র লিটনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে। সাধারণ ভোটারদের ভাবনায়ও আছেন লিটন।

এবার রাজশাহী নগরীতে নতুন ভোটার হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। তারাও লিটনের পক্ষে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, লিটন রাজশাহীর উন্নয়নে পরীক্ষিত। রাজশাহী নগরীকে সাজিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন করে। তাঁর রুচিশীল চিন্তাভাবনা আছে নগরী নিয়ে। এখনো অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ বাকি আছে। এসব কাজ সম্পন্ন করার জন্য তারা লিটনের পক্ষে থাকবেন। লিটনকেই ভোট দেবেন।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশের সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান। রাজশাহীতেও উন্নয়ন দৃশ্যমান, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। বিএনপি ও তাদের সঙ্গে যে ছোট দলগুলো আছে, তারা বলছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটি তাদের দলীয় বিষয়। কিন্তু এরপরে যেটি তারা বলছে, নির্বাচন হতে দেবে না। এটি অগণতান্ত্রিক, সংবিধানবিরোধী ও স্বেচ্ছাচারী বক্তব্য। নির্বাচন বর্জন করে আবার যদি তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাহলে জনগণ তার জবাব দেবে। কারণ সবাই এখন উন্নয়ন চায়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর