বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক খিলি পানের নেপথ্যে ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক খিলি পানকে ঘিরে একটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আর ওই এক খিলি পানই সর্বস্ব কেড়ে নেয় কোবাদ আকন্দ (৪৮) নামে এক ব্যক্তির। এ ঘটনা ঘটে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর।

তদন্ত শেষে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। অভিযুক্তরা হলেন- আবু হায়াত ওরফে সুরুজ ওরফে রেজাউল, পারুল বেগম, গোলজার হোসেন ওরফে হায়দার, রাজু মিয়া, শফিকুল ইসলাম করিম ও আ. জব্বার। এরা সমাজ সেবা অফিসের ভুয়া কর্মকর্তা। সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোবাদ আকন্দ প্রতিদিনের ন্যায় জীবিকার তাগিদে ঘটনার দিন বাড়ি থেকে ৩ চাকা বিশিষ্ট ডায়োডা অটোরিকশা নিয়ে ভাড়ায় চালানোর উদ্দেশে বের হন। তিনি যখন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দাপুর ইউনিয়নের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় দুজন ইউনিয়ন পরিষদের ভিতর থেকে বের হয়ে আসেন এবং সমাজ সেবা অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর তারা কোবাদ আকন্দের অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। তারা বলেন, ইউনিয়নের জন্য সরকারি ত্রাণের কম্বল ও শীতবস্ত্র নেওয়ার উদ্দেশে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় যেতে হবে। কোবাদ আকন্দ তাদের গলায় ঝুলানো আইডি কার্ড দেখে তাদের সরকারি লোক বলে বিশ্বাস করে এবং ১ হাজার টাকা ভাড়ায় তাদের নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা অভিমুখে রওনা করে। পথে কোবাদ আকন্দকে কালাই উপজেলা সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি হোটেলে নাস্তা করায় এবং তাকে পান খাওয়ার অনুরোধ করে। এরপর এক খিলি পান বের করে দিলে কোবাদ তা খাওয়ার পর পুনরায় যাত্রা শুরু করে।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, পান খেয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর কোবাদ আকন্দের শরীর নিস্তেজ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় কোবাদের জ্ঞান ফিরলে সে দেখে যে-পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গাইবান্ধায় ভর্তি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিনতাই হয়ে গেছে। জয়পুরহাটের কালাই থানায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি একটি মামলা হয়।

সর্বশেষ খবর