মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাণিজ্যিক অনুমতি ১০০ ফুট সড়ক থাকলেই

রাজউক এলাকায় মানতে হবে শর্ত প্লট পরিবর্তনে দিতে হবে নির্ধারিত ফি অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করলে আইনগত ব্যবস্থা

হাসান ইমন

বাণিজ্যিক অনুমতি ১০০ ফুট সড়ক থাকলেই

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এলাকার ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে সড়কের প্রশস্ততা ১০০ ফুট থাকলে প্লট পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি দেবে সংস্থাটি। এসব প্লট পরিবর্তনে দিতে হবে নির্ধারিত ফি। এর মধ্যে গুলশান, বনানী এলাকায় আবাসিক প্লট পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক প্লটে রূপান্তর করতে কাঠাপ্রতি ১ কোটি টাকা ফি দিতে হবে। বারিধারা ও উত্তরায় প্লট পরিবর্তনে দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সুপারিশ করা এলাকায় আগে থেকে বাণিজ্যিক ব্যবহার করা প্লটসমূহের মালিকদের ৬ মাসের মধ্যে অনুমতি নিতে হবে। না হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে রাজউক। সম্প্রতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. অলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজউকের আওতাধীন গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরা (প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব) এলাকার আবাসিক প্লটগুলো বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তনের বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আবাসিক প্লটগুলো বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তনের জন্য প্লটসংলগ্ন রাস্তার প্রশস্ততা ন্যূনতম ১০০ ফুট হতে হবে। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গুলশান আবাসিক এলাকার গুলশান এভিনিউ, বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বারিধারা আবাসিক এলাকার প্রগতি সরণি এবং উত্তরা প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব আবাসিক এলাকার জসিম উদ্দিন এভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি, সোনারগাঁও জনপথ, গাউসুল আজম এভিনিউ, গরিবে নেওয়াজ এভিনিউ, শাহ মখদুম এভিনিউ, শাহজালাল এভিনিউ, ঈসা খাঁ এভিনিউ ও আলাওল এভিনিউয়ে আবাসিক প্লট বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তন করা যাবে। এ ছাড়া রাজউকের আওতাধীন অন্যান্য এলাকার ১০০ ফুট প্রশস্ত সড়কের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তনের জন্য ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) অনুসরণসহ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, ভূমি ব্যবহারসংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, গুলশান, বনানী, বারিধারা (জে ব্লক বাদে) আবাসিক এলাকায় আবাসিক প্লট বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তনে ফি দিতে হবে কাঠাপ্রতি ১ কোটি টাকা। বারিধারা জে ব্লক ও উত্তরা (প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব) আবাসিক এলাকায় কাঠাপ্রতি ফি ৫০ লাখ টাকা। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা এলাকায় অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত প্লটগুলোর মালিকদের পরিপত্র জারির ছয় মাসের মধ্যে আবেদন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজউক থেকে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে নির্ধারিত জরিমানাসহ ফি দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্লটের ধরন পরিবর্তনের আবেদন না করলে রাজউক আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় কিছু জায়গায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিমান উড্ডয়ন সংক্রান্ত উচ্চতা নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত আছে। এসব এলাকায় উচ্চতা নির্ধারিত থাকার ফলে কিছু প্লটে স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উক্ত প্লটসমূহ চিহ্নিত করে সেখানে পার্ক, মাঠ, কবরস্থান, জলাধার, সোলার পার্ক স্থাপন করা যাবে।

পরিত্যক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত প্লটে বিদ্যমান অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে আবাসিক ভবন ও বহুতল ভবন এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সুবিধাদি যেমন স্কুল-কলেজ, পার্ক, গাড়ি পার্কিং, দুর্যোগকালীন সমাবেশ, সিনিয়র সিটিজেন কেয়ার, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বারিধারা কে ব্লক ও গুলশান প্রকল্প এলাকার (নর্থ গুলশান এভিনিউ) কয়েকটি ব্লকে ডিপ্লোম্যাটিক জোন থাকায় সেখানে নিরাপত্তা সংস্থার অনাপত্তি গ্রহণ করে বাণিজ্যিক প্লটে পরিবর্তনের অনুমোদন নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর