মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা

গাজীপুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা

২৫ মে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে। প্রচারণার শেষ মুহূর্তে নির্বাচনের হিসাব পাল্টে গেছে। কে হতে যাচ্ছেন গাজীপুর সিটির পরবর্তী মেয়র তা নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। নির্বাচন ঘিরে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় সর্বত্রই চলছে নির্বাচনী চুলচেরা বিশ্লেষণ, চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। গাজীপুর সিটিকে পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান।  

অন্যদিকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চেয়েছেন অন্য মেয়র প্রার্থীরা। অন্যদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।

গতকালও ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সবার একটাই উদ্দেশ্য- নির্বাচনে জয়ী হওয়া। আর এ জন্য তারা এ নির্বাচনের মূল ফ্যাক্টর ভাসমান ভোটারদের গুরুত্ব দিয়ে তাদের খোঁজে বিভিন্ন মিল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রচার চালিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। তারা নানা কৌশলে এসব ভোটারের সমর্থন ও ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে গতকাল দুপুরে মতবিনিময় সভা হয়েছে। ভোগড়া চৌধুরীবাড়ি এলাকার স্টাইলিশ গার্মেন্টের শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভা হয়। এতে স্টাইলিশ গার্মেন্টের চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএ-এর সদস্য সালাউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজমত উল্লা খান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরা সরকার। সভায় উপস্থিত পোশাক শ্রমিকদের কাছে আজমত উল্লা খানের জন্য ভোট চেয়ে আগামী ২৫ মে নৌকা প্রতীককে জয়ী করতে সবাইকে আহ্বান জানান বক্তারা।

মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ‘একটা উৎসাহ আমেজ নিয়ে মানুষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এখানে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজমান রয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।’

নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান গতকাল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় দিনভর গণসংযোগ করেছেন। এ সময় তিনি একাধিক পথসভায় বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ আশপাশ এলাকার নেতা-কর্মীরাও এ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন।

জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন নগরীর কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ ছাড়া তিনি টঙ্গী ও কাউলতিয়া এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দিনভর গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি একাধিক পথসভায় বক্তব্য রাখেন।  স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম রনি দিনভর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নগরীর টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি একাধিক পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গাজীপুর আদালত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া ও ডিবি দক্ষিণ বিভাগ) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান জানান, সিটি নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৯টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রায় ৪ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া র‌্যাব, বিজিবি সদস্যও নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আটজন মেয়র, ৭৯ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং ২৪৬ জন সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

সর্বশেষ খবর