মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

বাবুলের মনোনয়নপত্র দাখিল উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি আনোয়ারের

সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

বাবুলের মনোনয়নপত্র দাখিল উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি আনোয়ারের

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুলসহ তিন মেয়র প্রার্থী। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মেয়র নির্বাচিত হলে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে পরিকল্পিত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

গতকাল দুপুরে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ফয়সল কাদেরের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন নজরুল ইসলাম বাবুল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগরের সদস্য সচিব সাইফুদ্দীন খালেদ। মনোনয়নপত্র জমা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বাবুল বলেন, ‘নগরবাসী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়রদের উন্নয়ন দেখেছেন। উন্নয়নের নামে তারা জনভোগান্তি সৃষ্টি করেছেন। অপরিকল্পিত উন্নয়ন হওয়ায় মানুষ এর সুফল পায়নি। আগামী ২১ জুনের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডকে মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় এনে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে সিলেটকে একটি নান্দনিক শহরে পরিণত করব।’ এক প্রশ্নের জবাবে বাবুল বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বিধাবিভক্তি নেই। লাঙ্গলের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র না হলে লাঙ্গলের বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।’ এদিকে জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ছাড়াও গতকাল স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুন নূর তালুকদার ও আবদুল মান্নান খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান আজ শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। দুপুর ১২টায় আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান। পরিকল্পিত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল তিনি নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ ছাড়া হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গেও মতবিনিময় করেন তিনি। পৃথক সভায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমাধান করব। বিশেষ করে মশার প্রজনন কেন্দ্রগুলো ধ্বংস, পরিকল্পিত ড্রেনের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশন, রাস্তা প্রশ্বস্তকরণসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা একটি স্মার্ট নগরী গড়ে তুলব।’ এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘সিলেট নগরীকে ব্যবসাবান্ধব ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করব। নির্বাচিত হলে ব্যবসায়ীদের কল্যাণ ও উন্নয়নসহ সব দিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাব।’

 

সর্বশেষ খবর