শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্মার্ট সিটির প্রত্যাশায় নৌকায় আস্থা

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

স্মার্ট সিটির প্রত্যাশায় নৌকায় আস্থা

সিলেট নগরবাসী উন্নয়নে বিশ্বাসী। সিলেটের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আন্তরিক। তাই সিলেটের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী দুই হাত ভরে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু পরিকল্পিত উন্নয়নের অভাবে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে এবার তারা স্মার্ট সিটির প্রত্যাশা করছেন। আর সেই প্রত্যাশা পূরণে এবার সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আস্থা তাদের। যে কারণে নির্বাচনে সিলেটবাসী বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন নিয়ে নগরবাসীর প্রত্যাশার কথা এভাবেই ব্যক্ত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভোটারদের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আত্মসম্মান হারানোর ভয়ে আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনে জনগণই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে এটা বুঝতে পেরে বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেছে। তবে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও দলীয় নেতারা কাউন্সিল পদে ঠিকই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির অংশগ্রহণ বা বর্জন ভোটারদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ বিএনপির সঙ্গে ভোটাররা নেই।’ ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণে কারচুপির শঙ্কার কথা বলছেন অনেক প্রার্থী। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে ভোটারদের মধ্যেও। কিন্তু এ শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দেশে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে না। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনে অনেক স্থানে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা পরাজিতও হয়েছেন। যে কারণে দেশে-বিদেশে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রশংসিত হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। বিগত সিটি নির্বাচনেও সিলেটের কয়েকটি সেন্টারে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। ভোটাররা সঠিকভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। তাই যারা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা হয়তো অজ্ঞ অথবা ইচ্ছা করেই আগেভাগে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।’ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে এসে দলীয় ঐক্যের জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। গত নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পরাজয়ের পেছনে দলীয় অনৈক্যের বিষয়টি উঠে এসেছিল। এবার নির্বাচনে দলের নেতা-কর্মীরা কতটুকু ঐক্যবদ্ধ- এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। কিন্তু দল যখন প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তখন সবাই একই ছাতার নিচে চলে এসেছেন। মনোনয়নবঞ্চিত হলেও তারা সবাই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। অতীতের চেয়ে এখন সিলেটে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। আর ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয় না।’

আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে অনেকে বলছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরী দুবারের মেয়র। নিঃসন্দেহে তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। তবে ভোটের মাঠে আরও যেসব প্রার্থী আছেন তারাও যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন। তাদের খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। নগরবাসী যাকে অধিকতর যোগ্য মনে করবেন তাকেই বেছে নেবেন।’

২১ জুন নির্বাচনে সিলেটের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবেন। অতীতে নৌকার বিপক্ষে সমর্থন দিয়ে নগরবাসী এখন আফসোস করছেন। তারা পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি স্মার্ট নগরীর প্রত্যাশায় এবার অবশ্যই নৌকার পক্ষে থাকবেন- এমন প্রত্যাশা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর।

সর্বশেষ খবর