সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি পার্লারে ভালো বেতনে কাজের আশ্বাসে দেশ ছাড়তে রওনা হন এক তরুণী (২৬)। ওই তরুণী যখন বিমানে যাত্রা করতে ঘর ছাড়েন, তখন তার পরিবার ইউএই দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ভিসাটি ভুয়া। কিন্তু তরুণীর সঙ্গে তখন মোবাইল ফোন না থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ৯টার ফ্লাইটে ওই তরুণীর দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে তার পরিবার সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দুজনকে। তারা হলেন- আবদুল খালেক ও ফয়েজুল্লাহ সবুজ। গতকাল দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেন। মিজান তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানান। ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও কলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনাজ বেগম ৯৯৯-কে জানান, তারা তরুণী যাত্রীর যাত্রা স্থগিত করে তার ভাই ও স্বামীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অভিযুক্ত দুই দালালকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করে। তাদের নামে মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, দালালরা ওই তরুণীকে ৬০ দিনের ভিজিট ভিসায় দুবাই পাঠানোর চেষ্টা করছিল। তার ছোট ভাইয়ের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় তাকে পাচার থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। তারা ঢাকার খিলক্ষেতের মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন।