পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) তীব্র সমালোচনার মুখে লিফট কিনতে বিদেশে প্রতিনিধিদল পাঠানোর চিন্তায় ক্ষেমা দিয়েছে। লিফট কেনার জন্য পাবিপ্রবির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের ৯ জুন তুরস্ক রওনা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময় এ ধরনের ভ্রমণকে জনগণের টাকার অপচয় বলে অভিহিত করেন সমালোচকরা। তীব্র সমালোচনার মধ্যে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়। অথচ শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও সফরকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন সাফাই গেয়েছেন। এ নিয়ে পাবিপ্রবি সাধারণ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।
বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তুরস্কের যে লিফট পাবিপ্রবিতে সংযোজনের কথা রয়েছে এর নির্মাতা হিটকক্স গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এ প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৫০টি লিফট সরবরাহ করেছে। সুতরাং লিফট দেখতে তুরস্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিফট এখন জাহাজিকরণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেখানে মতামত প্রদানেরও সুযোগ নেই। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞও নন। এটি মূলত পাবিপ্রবির কর্তাদের একটি প্রমোদ ভ্রমণ ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধিদলের এ ভ্রমণের ব্যয় আকাশ থেকে পড়বে না, প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় হবে। ঠিকাদারের কাজে যদি উদ্বৃত্ত অর্থ থাকে, তা দিয়ে অযৌক্তিক প্রমোদ ভ্রমণ না করে ছাত্রকল্যাণে ব্যয় করার পরামর্শ দেন তিনি। উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন বলেন, সফরের বিষয়টি অনেক আগেই অনুমোদন করা থাকলেও মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এ সফর স্থগিত করা হয়েছে।
