সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

বরিশালে আজীবন বহিষ্কার রূপনসহ ১৮ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে আজীবন বহিষ্কার রূপনসহ ১৮ নেতা

তীব্র দাবদাহের মধ্যে প্রচারণায় ঘাম ঝরাচ্ছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা। নগরবাসীর সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করার অঙ্গীকার করছেন তারা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ১৪ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় নতুন বরিশাল  বিনির্মাণে ১২ জুন নৌকায় ভোট চান তিনি। নৌকার প্রার্থী বলেন, বিগত দিনে সিটি এলাকায় তেমন উন্নয়ন হয়নি। জনগণ দায়িত্ব দিলে নগরীর প্রধান প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেবেন। বিএনপির কারণ দর্শানোর চিঠির জবাব দিতে গতকাল ঢাকায় অবস্থান করেছেন সাবেক মেয়রপুত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন। তার পক্ষে নগরীর বটতলা এলাকায় গণসংযোগ করেন তার কর্মী সমর্থকরা। এদিকে বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে বরিশাল সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কামরুল আহসান রূপনকে। বর্তমানে তিনি বিএনপি কিংবা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো পদে না থাকলেও তাকে বহিষ্কার করা হলো। একইভাবে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির বর্তমান ও সাবেক আরও ১৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রূপন। তিনি বলেন, ২৫ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমার আগে কারণ দর্শানোর চিঠি পেলে অবশ্যই নির্বাচন থেকে সরে যেতাম। সময়সীমা পার হওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। ভোটচোর ধরার পাশাপাশি এই সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবেন বলে জানান রূপন। অপরদিকে গতকাল সকালে নগরীর আদালতপাড়ায় গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ সময় আদর্শ নগরী গড়তে ১২ জুন হাতপাখা প্রতীকে ভোট চান তিনি। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস গতকাল তার ৩০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। নগরীর বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তাপস বলেন, বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্য তিন মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রম তেমন দৃশ্যমান নয়।

সর্বশেষ খবর