সিরাজগঞ্জে ২০ শতক জমি ও ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি মাদরাসায় নিরাপত্তাকর্মী পদে আবু ত্বহা নামে এক ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের হরিনাহাটা দাখিল মহিলা মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি টি এম মঞ্জু ও মাদরাসা সুপার ফরিদুল ইসলাম নিয়োগ পরীক্ষার আগেই এই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি জানার পরেও শুক্রবার সকালে ডিজি প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে আবু ত্বহাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশও করেছেন। এ নিয়ে বহুলী ইউনিয়নে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, হরিনাহাটা দাখিল মহিলা মাদরাসার নিরাপত্তাকর্মীর জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পার্শ্ববর্তী খাগা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে আবু ত্বহাসহ ১৩ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের পর আবু ত্বহা চাকরির জন্য সভাপতি মঞ্জুর কাছে তদবির করেন। এ সময় মঞ্জু ও মাদরাসা সুপার চাকরির জন্য ২০ শতক জমি ও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবির প্রেক্ষিতে আবু ত্বহা ও তার স্বজনরা ২৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে মাদরাসার নামে ২০ শতক জমি লিখে দেন। একই সঙ্গে সভাপতি মঞ্জু ও সুপারকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরও পরীক্ষা স্থগিত হয়নি। বরং শুক্রবার সকালে মাদরাসায় স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে আবু ত্বহাকে নিয়োগের জন্য কর্মকর্তাগণ সুপারিশ করেছেন। ডিজির প্রতিনিধি আতিকুল ইসলাম ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা অর্থের বিনিময়ে ত্বহাকে সুপারিশ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্যান্য প্রার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। চাকরিপ্রাপ্ত আবু ত্বহার মামি জানান, ভাগ্নে ত্বহার চাকরির জন্য ২০ শতক জমি ও ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। মাদরাসার সুপার ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসার জন্য ২০ শতক জমি ও অফিস বাবদ খরচের জন্য আবু ত্বহার কাছ থেকে নিয়োগের আগেই কিছু টাকা নেওয়া হয়েছিল। তবে স্বচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে আবু ত্বহাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি টি এম মুঞ্জু বলেন, প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো জমি নেই। তাই কবরস্থান-সংলগ্ন ২০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়েছে। অফিস খরচ বাবদ ৫ লাখ টাকাও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। ডিজির প্রতিনিধি উল্লাপাড়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মাদরাসার সভাপতি-সুপার জানেন। আমি কোনো কিছু বলতে পারব না বলে মোবাইলফোন কেটে দেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা বলেন, ত্বহাকে নিয়োগের সুপারিশ করার পর জমি রেজিস্ট্রি ও টাকা লেনদেনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিরোনাম
- পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ
- জুভেন্টাসের বিপক্ষে ৭৩ বছরের প্রতীক্ষিত জয় কোমোর
- বান্দরবানে বিজিবির অভিযানে শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
- ধারাবাহিক আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কোর কমিটি
- ভোটের মাধ্যমে যে আইন হয়, তার দায় ভোটারদেরও নিতে হবে: ফয়জুল করীম
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন
- কুমারখালীতে পদ্মায় নিখোঁজ শিশু আরিয়ান, উদ্ধারে ডুবুরি দল
- খাবারের সন্ধানে এসে প্রাণ হারাচ্ছে অতিথি পাখি
- স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির ডেলিভারি: বিশ্বরেকর্ড না কি প্রযুক্তিগত ত্রুটি?
- পিচ নিয়ে মুশফিকের রহস্যময় পোস্ট
- সাড়ে ২৬ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভল কার্গো ভিলেজের আগুন
- জমি নিয়ে বিরোধে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
- বিশ্বখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরে চুরি
- জাপানের সম্মানজনক এনইএফ বৃত্তি পেল গাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী
- নাতীর বিরুদ্ধে নানীকে খুনের অভিযোগ
- বরুড়ায় মুন্সী জিন্নাত আলী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অভিষেক অনুষ্ঠিত
- আন্দোলনরত শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার
- নারীদের বিশেষায়িত ব্যাংক আরব আমিরাতের কাছে বিক্রি করল পাকিস্তান
- সাতকানিয়ায় নিখোঁজ বৃদ্ধের গলিত লাশ উদ্ধার
- সাবেক এমপি কবিরুল হকের জামিন নামঞ্জুর