ছুটির দিনে সাধারণত রাজধানীর পরিবেশ থাকে স্তিমিত আর আগের রাতের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গার জলাবদ্ধতা সেই পরিবেশকে অনেকটাই নিষ্প্রাপ্রাণ করে তুলেছে। নিষ্প্রাণ সেই পরিবেশেই ছায়ানটে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে সুরের লহমা। অমিয় বাণীর কথার সঙ্গে তাল, লয়, ছন্দ আর সুরের খেলায় অনন্য হয়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। শিল্পের রসের ধারায় দর্শক শ্রোতাদের মাঝেও উন্মাদনার ঢেউ খেলে যায়। এমন দৃশ্যকল্পই চিত্রিত ছিল ছায়ানটে আয়োজিত ইফফাত আরা দেওয়ানের একক সংগীতের আসরে। গতকাল ছুটির দিনের সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই সুরের আসর।
রবীন্দ্রনাথের ‘প্রভু বলো বলো কবে’ গানটির মধ্য দিয়েই সুরের ঝাঁপি খুলে বসেন আসরের মধ্যমণি শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ান। এরপর ধারাবাহিক পরিবেশনায় শিল্পী গেয়ে শোনান রবিঠাকুরের ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, গোধূলী গগনে মেঘে, আজি ঝড়ের রাতে তোমার, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সুখের কথা বলো না, রজনীকান্ত সেনের স্বপনে তাহারে কুড়ায়ে, অতুল প্রসাদ সেনের আমি বাঁধিনু তোমার তীরে, আবদুল আহাদের তুমি আমি দুই তীর, কমল ঘোষের চাঁদের এত আলো, মোহিনী চৌধুরীর ‘পৃথিবী আমারে চায়’, জ্ঞান ঘোষের ‘ওরে কোয়েলিয়া’, নীল কণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের ‘শ্যামের বাঁশি’, রাম নিধি গুপ্তের ‘তোমারই তুলনা তুমি’, আঙ্গুরবালার ‘হৃদয়েরই পটে, ইন্দুবালার ‘ওরে মাঝি আমার হাত ধরে’ ইত্যাদি।