কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৭ শতাধিক বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল বিকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের দশবাহা, দক্ষিণ শ্রীপুর, খাটরা, ফুলের নওরী, মৈয়রপুর, কর্তাম, চাপাচৌ, জিকড্ডা, শুরীকড়া, বিষ্ণুপুর ও দক্ষিণ ফিরিজকরায় এ সহায়তা দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রতিনিধি ডা. মঞ্জুর আহমেদ সাকী বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপসহ ছাত্রছাত্রীরা। তাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চৌদ্দগ্রামের গুণবতী ইউনিয়নের দশবাহা গ্রামের মোরশেদ আলম জানান, সিলেটের গত বছরের বন্যায় আমরা সহযোগিতা দিয়েছি। ভাগ্যের কী পরিহাস এ বছর আমরা ত্রাণের জন্য মানুষের পথ চেয়ে বসে ছিলাম দুই দিন। অবশেষে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ছাত্ররা আমাদের ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপ এবং ছাত্রদের ধন্যবাদ জানাই। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি জানান, আমাদের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক এবং সাধারণ ছাত্রদের উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য খাদ্য এবং ওষুধসহ জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছি।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের দশবাহা, দক্ষিণ শ্রীপুর, খাটরা, ফুলের নওরী, মৈয়রপুর, কর্তাম, চাপাচৌ, জিকড্ডা, শুরীকড়া, বিষ্ণুপুর ও দক্ষিণ ফিরিজকরায় বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণতৎপরতা - বাংলাদেশ প্রতিদিন
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সানজিদা আক্তার স্বর্ণা বলেন, টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনীসহ যেসব এলাকার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য আমাদের এ উদ্যোগ। বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যাডমিন মামুন হোসেন জানান, বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। তাদের পাশের দাঁড়ানোর জন্য আমাদের প্রতিনিধিরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, সারা দিনের বৃষ্টি মাথায় নিয়ে, হাঁটু ও কোমরপানিতে নেমে নোয়াখালীতে ঘরে ঘরে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে ডিঙি বোটের মাধ্যমে খাদ্য, ওষুধ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিকে দুর্গত এলাকার পানিবন্দি মুসলমানের পাশাপশি হিন্দু পরিবারও আশ্রয় নিয়েছে মসজিদে। তারাও ত্রাণ নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে। গতকাল সকাল থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানি, রাজগঞ্জ, চৌমুহনির জমিদার হাটের কুতুবপুর ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িতে এবং সদরের বিভিন্ন এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের সার্বিক সহযোগিতায় ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক এবং সাধারণ ছাত্রদের উদ্যোগে আশ্রয় নেওয়া পরিবারসহ বন্যার্তদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। এ সময় সাধারণ ছাত্র ও বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মী, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ-২৪ নোয়াখালী প্রতিনিধি আকবর হোসেন সোহাগ, মিডিয়া সমন্বয়ক মাসুদ রানা এবং নোয়াখালী চৌমুহনীর জমিদার হাট কুতুবপুর ইউনিয়নের রাফি, রায়হান, ইসহাক, শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ প্লাবন, মো. ফরহাদ হোসেন, সামাইন মোহাম্মদ চৌধুরী, তাহিন আহমেদ, অনু-সহ আরও অনেক ছাত্র ছিলেন। এর আগে গত রাত ১০টা পর্যন্ত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
রামগঞ্জে বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ দিল বসুন্ধরা গ্রুপ : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে লক্ষ্মীপুরের মানুষ। সেখানে যখন চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার, সেই মুহূর্তে জেলার রামগঞ্জের বন্যাদুর্গত ৫০০ পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিল দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক এবং সাধারণ ছাত্রদের উদ্যোগে রবিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চনপুর, নওগাঁও, ভাদুর ইউনিয়নের বন্যার্তদের এসব খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও আগন্তুক শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে, সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে মানুষ মানুষের পাশে এসে এভাবেই দাঁড়বে এমনটি আমরা চাই। এ সময় তারা জানান, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুব খুশি।