আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যেকার বিতর্কের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে কার নেতৃত্বে চলবে আমেরিকা। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে পেনসিলভানিয়া স্টেটের ফিলাডেলফিয়া সিটির ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ও সর্বশেষ নির্বাচনি বিতর্ক। এর আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের বিতর্কের পর নির্বাচনি ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈতরণী পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিতর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেন মার্কিনিরা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুর পাশাপাশি নিজের প্রশাসনিক দক্ষতা ও জনকল্যাণে সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা উপস্থাপনে যতবেশি পারদর্শিতা প্রদর্শিত হবে-ততই বিজয়ের পথ প্রসন্ন হয়। ইতিপূর্বেকার নির্বাচনে এমন অবস্থা দৃশ্যমান হয়েছে। সে সব ক্ষেত্রে এবারের এই বিতর্কের গুরুত্ব আরও বেশি। কারণ, হোয়াইট হাউসে আবারও ফিরতে পারলে উপরোক্ত ইস্যুতে ট্রাম্প কেমন ভয়ংকর পদক্ষেপ নেবেন তা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। মুসলিম বিশ্বকেই শুধু নয়, তৃতীয় বিশ্বে নির্বাচনি ব্যবস্থাকেও আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। অভিবাসীদের রক্ত-ঘামে গড়ে ওঠা আমেরিকার নেতা হতে পারলে অভিবাসনের অনেক কার্যক্রমকে থামিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্তে অসমাপ্ত দেয়াল নির্মাণের কাজটিও সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে নাজুক অবস্থা স্বীকারই করতে চাচ্ছেন না ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান নীতি-নির্ধারকরা।
এদিকে, ইসরায়েলের আগ্রাসী তৎপরতা, রাশিয়ার ইউক্রেন গ্রাসের স্বৈরাচারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন তা এখনো স্পষ্ট করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্কের পরিধি কেমন হবে সে ব্যাপারেও জানতে চান আমেরিকানরা। তবে ট্রাম্প নতুন কোনো যুদ্ধে আমেরিকাকে জড়াবে না বলে আভাস দিয়েছেন। শান্তির পক্ষে সরব কমলার মতো ট্রাম্পের বক্তব্যেও তা আসছে। কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সমস্যাকে বাস্তবতার আলোকে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার করেছেন। স্বল্প ও মাঝারি আয়ের মানুষের কল্যাণে নিজের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। সর্বোপরি আমেরিকানরা ভোটারেরা গভীর মনোযোগ রাখবেন বিতর্কে উপস্থাপিত পরিকল্পনার ওপর।