অনলাইন গেম ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলার সূত্র ধরে পরিচয় হয় ওদের। দেড় মাসের মধ্যেই গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাফিজুর রহমান ও শ্রুতি রানী পালের মধ্যে। অতঃপর শুরু হয় নানা প্রতারণা। ১৭ বছরের শ্রুতি কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রতারক চক্র নানা বাহানায় তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ। যখন বুঝতে পারে, তখন দ্রুত মামলা করে শ্রুতি। সেই সূত্রে পুলিশ এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে দুজনকে।
উদ্ধার করেছে ১১ ভরি ১ আনা ২ রতি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭১০ টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল। গতকাল দুপুরে বরিশাল মহানগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে উপপুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বলেন, নাফিজুর রহমান নামে এক যুবক আনুমানিক দেড় মাস আগে অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার খেলার মাধ্যমে শ্রুতি রানী পালের সঙ্গে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ ডিসেম্বর শ্রুতির কাছ থেকে ২১ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। এর আগে নগদ ও বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তার কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় নাফিজুর। তিনি জানান, ১২ ডিসেম্বর শ্রুতি রানী পাল নামে ১৭ বছরের এক তরুণী ঢাকা মেট্রোপলিটনের লালবাগ থানায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ আত্মসাতের ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রুনা লায়লা আরও বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের প্রাথমিক প্রযুক্তিগত সত্যতা পেলে লালবাগ থানা পুলিশ একটি মামলা রুজু করেন এবং সেই মামলার কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এয়ারপোর্ট থানায় প্রেরণ করেন। যার প্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনজীত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রহমতপুর এলাকায় গত রাতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রতারক চক্রের প্রধান সদস্য ও মামলার প্রধান আসামি এয়ারপোর্ট থানাধীন পশ্চিম পাংশা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাফিজুর রহমান (২২) ও তার সহযোগী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ এলাকার শামিউল আলমের ছেলে শফিউল আলম প্রিন্সকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১ ভরি ১ আনা ২ রতি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭১০ টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। নিয়মানুযায়ী গ্রেপ্তারকৃতদের লালবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।