ঢাকায় মাদকের হোম ডেলিভারি চক্রের অন্যতম হোতা চন্দন রায়কে (২৯) আইসসহ গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। সংস্থাটি বলছে, মালয়েশিয়া প্রবাসী এবং আরেক বন্ধু মিলে আইস (ক্রিস্টাল মেথ) পাচারের চক্র গড়ে তোলেন চন্দন। এর আগে একাধিকবার জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে ফের চক্রে সক্রিয় হন বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
গতকাল ডিএনসির সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, ডেমরা সার্কেলের একটি টিম রবিবার দুপুরে রাজধানীর ওয়ারী থেকে মাদকের হোম ডেলিভারি চক্রের অন্যতম হোতা ও আইসের গডফাদার চন্দন রায়কে ২০ গ্রাম আইসসহ গ্রেপ্তার করে। চন্দন রায় ডিগ্রি পাস করে বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টির সদস্য হয়ে বিদেশ থেকে সোনা ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়েন। করোনাকালে কয়েকজন মালয়েশিয়া প্রবাসী এবং বন্ধু মিলে আইস (ক্রিস্টাল মেথ) পাচারের চক্র গড়ে তোলেন। তিনি বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে কৌশলে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকে সিলিকা জেলের আড়ালে আইস বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন। পরে এ মাদক দেশের অভিজাত শ্রেণির ক্রেতাদের কাছে পার্সেল হোম সার্ভিস সিস্টেমে সরবরাহ করতেন। ডিএনসি জানায়, এর আগে মালয়েশিয়া থেকে সোনা ব্যবসার আড়ালে ২০২০ সালের নভেম্বরে ৬০০ গ্রাম আইসসহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে পাঁচজন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়েন। ২০২২ সালে ২ নভেম্বর ফের ৫০০ গ্রাম আইসসহ তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএনসি। এর পর ছয় মাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে চন্দন রায় আত্মগোপনে চলে যান এবং রাজধানীতে আইসের চক্রটি সক্রিয় করেন।