সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। দুদকের অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির প্রায় ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদও পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সাইদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রভাবশালী পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলা হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রী রোকসানা হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় পাপনের মেয়ে রুশমিলা রহমান (অহনা), ছেলে রাফসান রহমান, আরেক মেয়ে সুনেহরা রহমান (তন্নি) ও তার জামাতা রাকিন আল মাহমুদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
দুদক বলছে, নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ১২ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৭৪২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৬ টাকার ঘুষ ও দুর্নীতির সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তার স্ত্রী রোকসানা হাসানের বিরুদ্ধেও ১২ কোটি ১২ হাজার ২১৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ১১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চাকরিচ্যুত নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে।