তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জে তিন স্কুলছাত্রী ও এক কৃষক, ঝিনাইদহে দুই কৃষক এবং সুনামগঞ্জে এক কৃষক রয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কিশোরগঞ্জ : পাকুন্দিয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল উপজেলার চরটেকী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দীনের মেয়ে ফারিয়া জান্নাত ইরিনা (১৫) ও বাদল মিয়ার মেয়ে আদ্রিতা ইসলাম প্রিয়া (১৫) এবং বোরহান উদ্দিনের মেয়ে হিমা আক্তার বর্ষা (১৫)। তারা চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এসব তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। এদিকে মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনয়নের চমকপুর গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন কটু মিয়া (৪৩) নামে এক কৃষক। গতকাল হাওরে ধানের খড় সংগ্রহের কাজের সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তার।
ঝিনাইদহ : সদর উপজেলায় বজ্রপাতে গতকাল দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী গ্রামের শাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৫) ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে অলিয়ার রহমান (৫০)। তারা দুজনই কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, লাশ দুটি সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ : জামালগঞ্জ উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে জাকির হোসেন (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের পাশের হাওরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।