যোগদানের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্র্বর্তী উপাচার্য ড. মো. হযরত আলী। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে কুয়েটে নতুন করে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের পর শুরু হয় অচলাবস্থা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে চুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩ মে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি উত্তরণে শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। তবে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্নের দাবিতে কঠোর অবস্থান নেয় শিক্ষক সমিতি। একপর্যায়ে ১৯ মে ক্যাম্পাস ছাড়েন ড. হযরত আলী। ২১ মে শিক্ষক সমিতি তাঁর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ ভিসি নিয়োগের দাবি জানায়। একই দাবিতে গতকালও ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. ফারুক হোসেন জানান, ‘আমরা ভিসির পদত্যাগসহ কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনে একজন পূর্ণাঙ্গ ও যোগ্য ভিসি নিয়োগের দাবি জানিয়েছি। সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ করা ভিসির পক্ষে কুয়েটের সংকট নিরসন করা সম্ভব নয়।’ এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘অন্তর্র্বর্তী ভিসির পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে সংকট আরও জটিল হলো। আমরা বারবার শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁরা নিজ অবস্থানে অনড়। এরই মধ্যে কুয়েটে বড় ধরনের সেশনজট তৈরির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’