টাঙ্গাইলে অভ্যন্তরীণ নদীর পানি বাড়ছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে বন্যার। গাইবান্ধায় তিন নদীর পানি বাড়ছেই। তবে কমেছে তিস্তার। লালমনিরহাটে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
টাঙ্গাইল : জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনা, ধলেশ্বরী, লৌহজং ও ঝিনাই নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা প্রবাহে অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। জেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, পাঁচ দিন ধরে জেলার নদনদীতে পানি বাড়ছে। সদর উপজেলার কাকুয়া, হুগড়া ইউনিয়ন, গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ও হাদিরা ইউনিয়ন, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী, সল্লা এবং নাগরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের বহু নিচু এলাকায় ইতোমধ্যে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনও শুরু হয়েছে। নাগরপুর ও ভূঞাপুরের বেশ কিছু এলাকায় নদীতীর ভেঙে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ মেরামত বা নদীতীর রক্ষা প্রকল্পে নজর না থাকায় প্রতি বছর একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়।
গাইবান্ধা : থেমে থেমে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া, ঘাঘটের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এসব নদনদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।
লালমনিরহাট : টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি গত দুই দিনে আকস্মিক বিপজ্জনক হারে বেড়েছে। এতে জেলার তিস্তাতীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। জানা গেছে, অনেক জমির ফসল কাটার উপযুক্ত সময় হলেও তা ঘরে তোলার আগেই প্লাবিত হয়ে যায়। সবজি ও অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষক। তাঁরা এখন নৌকা ও অন্যান্য উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে ফসল উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।