পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎসব শেষে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের ছুটির রেশ শেষ না হলেও কয়েক দিন ধরেই ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন তারা। ঈদের দীর্ঘ ছুটির ফলে কর্মস্থলে ফেরা যাচ্ছে স্বস্তির ও ঝামেলাহীনভাবে। বাস, রেল ও লঞ্চে স্বাচ্ছন্দ্যেই ঢাকায় ফিরছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথ, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দর এলাকায় ছিল ঘরমুখী মানুষের বিপরীত চিত্র- ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে সকাল থেকেই।
বেশির ভাগ যাত্রী জানিয়েছেন, এবারের ঈদ শেষে ফেরার যাত্রা ছিল স্বস্তির ও নির্বিঘ্ন। রাস্তায় ছিল না দীর্ঘ যানজট, ট্রেনের টিকিট নিয়ে ছিল না কালোবাজারির বিড়ম্বনা, আর লঞ্চ ও বাস চলাচল ছিল মোটামুটি সময়মতো। গতকাল সকালে যমুনা সেতু পশ্চিম হাটিকুমরুল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। তবে গতকাল ঢাকায় ফেরা বেসরকারি চাকরিজীবী আখতার জামান জানান, যমুনা সেতুর দুই পাশে গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে, ছিল যানজটও। রাজধানীতে যাত্রীদের বাস থেকে নেমে বাসাবাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে সিএনজি বা রিকশা পেতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ জানান, ঈদ-পরবর্তী মহাসড়কে তেমন চাপ নেই। তবুও কর্মস্থলে ফেরা মানুষের নিরাপত্তায় জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী কাজ করছে। শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়াতে আগেভাগেই রাজধানীতে ফিরছেন অনেকে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন রেলযাত্রীরা। ঈদের ছুটির আমেজ এখনো কাটেনি। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি চলমান রয়েছে। কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুললেও ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোদমে চালু হয়নি। যারা ঈদের আগে গ্রামে যেতে পারেননি, তারা এখন গ্রামে যাচ্ছেন। কেউবা রাজধানীর বাইরের কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। ঈদের ছুটি শেষে লঞ্চে করেও ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। প্রতি ঘণ্টায় ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। পরিবার নিয়ে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ফিরছেন লঞ্চযাত্রীরা। যাত্রীদের নিরাপত্তায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে যৌথবাহিনী। পাশাপাশি নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাদা পোশাকে টহল অব্যাহত রেখেছে।